Amar Sangbad
ঢাকা রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫,

ক্ষেতলালে নিখোঁজের নয়দিন পর শিশুর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি

ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি

এপ্রিল ২৬, ২০২৫, ০৮:৩৭ পিএম


ক্ষেতলালে নিখোঁজের নয়দিন পর শিশুর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার সহলাপাড়া গ্রামে নিখোঁজ হওয়ার নয়দিন পর প্রতিবেশীর বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত ডোবা থেকে এক শিশুর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

গত ১৮ এপ্রিল (শুক্রবার) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কাফি খন্দকার (৮) খেলার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। সহলাপাড়া মোড়ে মোশারফ হোসেনের দোকানের সামনে সন্ধ্যার আগে তাকে খেলতে দেখা গেলেও এরপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

শনিবার বিকেলে মশিউর রহমানের স্ত্রী হাবিবা বেগম বাড়ির পাশে গরুর খড় আনতে গিয়ে দুর্গন্ধ টের পান। পরে চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন এবং পরিত্যক্ত ডোবার পাশে কাফির অর্ধগলিত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। খবরটি মুহূর্তে গ্রামজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। শিশুটির মা উম্মে কুলছুম ও বাবা ইকবাল হোসেন কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং মুর্ছা যান।

খবর পেয়ে ক্ষেতলাল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। শিশুর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সন্দেহভাজন পাঁচজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

জানা যায়, শিশুটি নিখোঁজের পর বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়। শুক্রবার জয়পুরহাট জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল ওয়াহাব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরদিন পরিত্যক্ত ডোবা থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

শিশুর বাবা ইকবাল খন্দকার অভিযোগ করেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে একই গ্রামের কামাল উদ্দিনের ছেলে সবুর (৪৫), আলম হোসেন (৪০) ও মশিউর রহমান কলম (৩৫) তার ছেলেকে গুম করে হত্যা করে ডোবায় ফেলে দেয়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য রাসেল খন্দকার বলেন, শিশুটিকে গুম করে হত্যা করে ডোবার কচুরিপনার মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) দীপেন্দ্রনাথ সিং জানান, সন্দেহভাজন কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইএইচ

Link copied!