মাদারীপুর প্রতিনিধি:
এপ্রিল ২৭, ২০২৫, ০৫:৫৬ পিএম
মাদারীপুর প্রতিনিধি:
এপ্রিল ২৭, ২০২৫, ০৫:৫৬ পিএম
মাদারীপুরে বিআরটিএ অফিসের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে গত রবিবার (২৭ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের উদ্যোগে এক অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচিটি বিআরটিএ অফিসের সামনে অনুষ্ঠিত হয় এবং সেখানে বিভিন্ন স্লোগান তুলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হয়।
অবস্থান কর্মসূচির সময়, বিআরটিএ অফিসের একমাত্র কর্মকর্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একজন পিওন, ইব্রাহিম। তবে, অন্যান্য কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী অফিসে উপস্থিত ছিলেন না। এর ফলে, সেবা নিতে আসা অনেক ভুক্তভোগী ফিরে যেতে বাধ্য হন। আন্দোলনকারীরা স্লোগান দিয়ে অফিস চত্বরে প্রতিবাদের ঝড় তুলে বলেন, ‘দুর্নীতি বাজদের কালো হাত ভেঙে দাও, মাদারীপুরে দুর্নীতিবাজদের ঠাঁই নাই!’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব, মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘যতদিন না বিআরটিএ অফিসের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাদারীপুর থেকে অপসারণ করা হবে, ততদিন আমাদের আন্দোলন চলবে। আমরা এর আগেও বিভিন্ন দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি, এবং আগামী দিনগুলোতেও আমরা এই আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
এছাড়া, আন্দোলনে অংশ নেন সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক আকাশ মাতুব্বর, সিনিয়র যুগ্ম-সদস্য সচিব ইখতিয়ার আহমেদ সাবিদ, মুখ্য-সংগঠক আবদুর রহিম, সহ-মুখপাত্র তুষার সব্যসাচী, এবং সহ-মুখপাত্র জুবায়ের আহমেদ নাফিসহ আরও অনেকে।
অবস্থান কর্মসূচির পর আন্দোলনকারীরা জেলা প্রশাসকের অফিসে গিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন। জেলা প্রশাসক মোছা: ইয়াসমিন আক্তার ছাত্রদের আশ্বস্ত করে বলেন, ‘আমি তিন দিন ছিলাম না, তবে আজকে বিষয়টি জানার পর আমি স্মারকলিপিটি কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দিবো।’
এদিকে, গত ১৭ এপ্রিল এক মানববন্ধনের মাধ্যমে বিআরটিএ অফিসের দুর্নীতিবাজদের অপসারণের জন্য তিন দিনের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছিল। সময় পার হলেও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় আজকের অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা আরও জানায়, ‘যদি দ্রুত দুর্নীতিবাজদের অপসারণ করা না হয়, তবে বৃহত্তর আন্দোলনসহ বিআরটিএ অফিস ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’
এ ঘটনা থেকে স্পষ্ট যে, মাদারীপুরে দুর্নীতি এবং স্বজনপ্রীতির বিরুদ্ধে ছাত্র সমাজের অঙ্গীকার কঠোর। আন্দোলনকারীরা তাদের যৌক্তিক দাবির প্রতি একনিষ্ঠ থেকে এবং জনগণের স্বার্থে সামনে আরও বৃহত্তর পদক্ষেপ নেয়ার জন্য প্রস্তুত।
বিআরইউ