Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪,

ঋণ ও ক্রেডিট কার্ডে রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা শিথিল

মো. মাসুম বিল্লাহ

সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২২, ০১:১৮ পিএম


ঋণ ও ক্রেডিট কার্ডে রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা শিথিল

করযোগ্য আয় না থাকলে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ গ্রহণ এবং শিক্ষার্থী ক্যাটাগরিতে ক্রেডিট কার্ডে লেনদেনের ক্ষেত্রে তফসিলি ব্যাংকে আয়কর রিটার্নের প্রমাণপত্র জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা প্রত্যাহার করে নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) এনবিআরের দ্বিতীয় সচিব (কর আইন -১) মো. মহিদুল ইসলাম চৌধুরী সই করা বিশেষ আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এনবিআরের দ্বিতীয় সচিব (কর আইন -১) মো. মহিদুল ইসলাম চৌধুরীর সই করা বিশেষ আদেশে বলা হয়েছে, ১৯৮৪ সালের আয়কর অধ্যাদেশের ১৮৪ এ ধারার উপধারা (৪)-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে করারোপযোগ্য আয় না থাকা সাপেক্ষে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ গ্রহণ এবং শিক্ষার্থী ক্যাটাগরিতে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত ক্রেডিট কার্ডে লেনদেনের ক্ষেত্রে তফসিলি ব্যাংকে আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্র জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা প্রত্যাহার করা হলো।

আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত এই নির্দেশনা বলবৎ থাকবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

ঋণ গ্রহণ ও ক্রেডিট কার্ডে লেনদেনের ক্ষেত্রে আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্র বাধ্যতামূলক করায় এবার প্রভাব পড়ছে ক্ষুদ্র ঋণ, ক্রেডিট কার্ডসহ সঞ্চয়পত্রে। এতদিন শুধু কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) জমা দিলেই অনেক সেবা পাওয়া গেলেও এবার অনেক ক্ষেত্রে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্র বাধ্যতামূলক করায় বিপাকে পড়তে হয় মানুষকে। ব্যাংকগুলোতে অনেক ক্ষুদ্র ঋণগ্রহীতারা ঋণ পাচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

প্রমাণপত্র ছাড়া কাউকে ক্রেডিট কার্ড দিলে সেই ব্যাংককে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান করা হয়। এবারের বাজেটের অর্থবিলেও এই ধরনের জরিমানার বিধানও রাখা হয়েছে। এ কারণে ক্রেডিট কার্ডের বাজার ছোট হয়ে আসায় ব্যবসা অর্ধেকে নেমে আসে। ব্যাংকের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ গ্রাহকও। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ছোট ঋণ ও কম আয়ের গ্রাহকদের ক্রেডিট কার্ড পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।

প্রত্যক্ষ কর আদায় বাড়াতে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পক্ষ থেকে দাবি করা হলেও ব্যাংকাররা বলেন, এতে ব্যাংকের ব্যবসায় বড় ধাক্কা আসতে পারে।

ইএফ

Link copied!