অক্টোবর ৩১, ২০২২, ০১:০০ এএম
সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ নেয়ার ক্ষেত্রে অনাগ্রহ দেখাচ্ছে সরকার। ফলে প্রতি মাসেই কমছে বিক্রির পরিমাণ। অন্যদিকে বিক্রির তুলনায় টাকা ফেরৎ দেয়া হচ্ছে বেশি পরিমাণে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, উচ্চ সুদের কারণেই এ খাত থেকে ঋণ নিতে আগ্রহ হারিয়েছে সরকার। এর বিপরীতে ব্যাংক লোন নেয়া হচ্ছে। তারা বলছেন, অনাগ্রহের কারণেই সাম্প্রতিক সময়ে সঞ্চয়পত্র ক্রয় নানা শর্ত জুড়ে দেয়া হয়েছে। এর পর থেকেই বিক্রি তলানিতে নেমেছে।
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে ৭৩১ কোটি টাকার নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১০ হাজার ৯৩১ কোটি টাকা কম। গত অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিলো ১১ হাজার ৬৬২ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের তৃতীয় মাস সেপ্টেম্বরে দেশের বিভিন্ন ব্যাংক, ডাকঘর ও অন্যান্য সঞ্চয় অফিস থেকে নিট ৩৩০ কোটি ৫৭ লাখ টাকার নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। এর আগের মাস আগস্টে মাত্র ৮ কোটি টাকার নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়। অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ৩৯৩ কোটি ১১ লাখ টাকার নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে।
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবে সঞ্চয়পত্র থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকার ঋণ নেবে সরকার। গত ৯ জুন জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ তথ্য জানান। তবে নতুন অর্থবছরে ৫ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র কিনতে গ্রাহকের আয়কর রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়। এতে এ খাতের বিক্রি কমে গেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এর আগের ২০২০-২১ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে ৪২ হাজার কোটি টাকা নিট ঋণ নিয়েছিল সরকার। যার পরিমাণ ২০১৯-২০ অর্থবছরে ছিল ১৪ হাজার ৪২৮ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র খাতের নিট ঋণ ছিল ৪৯ হাজার ৩৯৩ কোটি টাকা। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সরকার ঋণ নিয়েছিল ৪৬ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা এছাড়া ২০১৬-১৭ অর্থবছরে নিয়েছিল ৫২ হাজার ৪১৭ কোটি টাকা।
ইএফ