Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪,

রেমিট্যান্স পাঠাতে চার্জ লাগবে না

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক

নভেম্বর ৬, ২০২২, ০৮:৫৬ পিএম


রেমিট্যান্স পাঠাতে চার্জ লাগবে না
  • ছুটির দিনেও খোলা থাকবে এক্সচেঞ্জ হাউজ 
  • রপ্তানি বিল নগদায়ন ১০০ টাকায়

বৈধ পথে (ব্যাংকিং চ্যানেল) রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে এসেছে নতুন সিদ্ধান্ত। এখন থেকে রেমিট্যন্স পাঠাতে কোন চার্জ গুনতে হবে না প্রবাসী বাংলাদেশীদের। সাথে বহাল থাকবে আড়াই শতাংশ প্রণোদনা। এছাড়া ছুটির দিনেও রেমিট্যান্স পাঠানো যাবে। দেশের বাইরের এক্সচেঞ্জ হাউসগুলো ছুটির দিনেও খোলা থাকবে। চলমান ডলার সংকট নিরসনে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অন্যদিকে রপ্তানিকারকরাও প্রতি ডলারে ৫০ পয়সা বেশি পাবে। এখন থেকে ১০০ টাকায় রপ্তানী আয় নগদায়ন হবে। আগে ছিল ৯৯ টাকা ৫০ পয়সা।

রোববার (৬ নভেম্বর) সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে সোনালী ব্যাংকের এমডি ও বাফেদার চেয়ারম্যান আফজাল করিম সাংবাদিকদের বলেন, বাফেদা ও এবিবির ধারাবাহিক বৈঠকের মতোই আমাদের আজকের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সর্বসম্মতিক্রমে এখন থেকে ব্যাংকগুলো ১০৭ টাকায় রেমিট্যান্স এবং ১০০ টাকায় রপ্তানি আয় সংগ্রহ করবে। পাশাপাশি প্রবাসী বাংলাদেশিদের সুবিধার্থে রেমিট্যান্স পাঠানোর চার্জ মওকুফ করা হয়েছে। কোনো ধরনের খরচ ছাড়া আগামীকাল থেকে প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠাতে পারবেন। তিনি বলেন, এখন থেকে ছুটিরদিনগুলোতেও রেমিট্যান্স পাঠাতে পারবেন প্রবাসীরা। 


প্রবাসীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে এক্সচেঞ্জ হাউজ খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকে। প্রবাসীদের যাতে কাজ বন্ধ রেখে টাকা পাঠাতে বাড়তি সময় ব্যয় করতে না হয় সেটি বিবেচনায় নিয়ে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এর আগে গত ২৩ অক্টোবর প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের বিপরীতে ডলার কেনার সর্বোচ্চ দর ৫০ পয়সা কমিয়ে ১০৭ টাকা করা হয়। আর রপ্তানি বিল ৫০ পয়সা বাড়িয়ে করা হয় ৯৯ টাকা ৫০ পয়সা।  যা গত ২৬ সেপ্টেম্বর এক সভায় প্রবাসী আয়ে ১০৭ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তখন রপ্তানি আয়ে ৯৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়। তারও আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর প্রথম ব্যাংকারদের সভায় এক্সপোর্ট প্রসিডে ৯৯ টাকা ও রেমিট্যান্সের ডলার ১০৮ টাকায় কেনার সিদ্ধান্ত হয়।

এদিকে বৈদেশিক মুদ্রার চরম সংকটের এই সময়ে বৈধ পথে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স বাড়াতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চাহিদা মেটাতে ব্যাংকগুলোও তৎপরতা বাড়িয়েছে। তবে কোনো কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। হুন্ডির কবলে পড়ে প্রবাসী আয় ধারাবাহিকভাবে কমছে। অক্টোবরে রেমিট্যান্স কমে ১৫৩ কোটি ডলারের নিচে নেমেছে, যা গত ৮ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এই অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে গড়ে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছিল। গত সেপ্টেম্বরে কমে তা ১৫৪ কোটি ডলারে নামে।

এবি

Link copied!