Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৪,

ঢাকার সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পে ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক

নভেম্বর ১৩, ২০২২, ০৮:০০ পিএম


ঢাকার সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পে ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

‘বিউটিফিকেশন অব ঢাকা’ নামক এক প্রকল্পে ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক। ঢাকার চারপাশের নদীগুলো দখলমুক্ত করে রাজধানীকে বাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তোলার কাজে এ ঋণের অর্থ ব্যবহার করা হবে।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল রোববার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এর আগে অর্থমন্ত্রী বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।

বৈঠকে অর্থসচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শরিফা খান, বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর (প্রধান) আবদুলায়ে সেক, আঞ্চলিক পরিচালক গুয়াংজে চেন ও এত দিন বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ড্যানড্যান চেন উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে বাংলাদেশ ও ভুটানের জন্য বিশ্বব্যাংকের নতুন প্রধান আবদুলায়ে সেককে অন্যদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন অর্থমন্ত্রী।

অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, ‘বিউটিফিকেশন অব ঢাকা’ নামে একটি প্রকল্পের সমীক্ষা শেষ হয়েছে। এ প্রকল্পে ঋণ দিতে রাজি হয়েছে বিশ্বব্যাংক। প্রকল্পটি কয়েকটি ভাগে বাস্তবায়িত হবে। সরকারের উচ্চপর্যায়ে প্রকল্পটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, এর অধীন ঢাকার চারপাশের নদীগুলো দখলমুক্ত করা হবে এবং ঢাকাকে বসবাসযোগ্য করে গড়ে তোলা হবে।

বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার তিন দিনের সফরে গতকাল শনিবার ঢাকায় আসেন। সফরকালে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় বাস্তবায়িত কিছু প্রকল্পও পরিদর্শন করার কথা রয়েছে তার।

জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে গত মাসে অনুষ্ঠিত বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের বার্ষিক সভায় ঢাকা শহরকে বাসযোগ্য করতে বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ চেয়েছে বাংলাদেশ। শহরের চারপাশের নদীগুলো পুনরুদ্ধারে বিনিয়োগ কর্মসূচি প্রণয়নে প্রযুক্তিগত সহায়তাও চাওয়া হয়েছে।

বিশ্বব্যাংককে আরও জানানো হয়েছে, নদী পুনরুদ্ধার সহজ কাজ নয়, এটা জটিল বিষয়। বিশ্বব্যাংকের পরিকল্পনায় সমন্বিত নদী ব্যবস্থাপনার জন্য সামগ্রিক কৌশল নির্ধারণ করা হবে। এ জন্য কারিগরি সহায়তা (টিএ) প্রকল্পের কাজ গত মার্চ থেকে চলছে, যা ২০২৩ সালের মার্চের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা।


ইএফ

Link copied!