নভেম্বর ২৯, ২০২২, ০৮:১৭ পিএম
পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য ফ্লোর প্রাইস নয়, বরং সামগ্রিক অর্থনীতিই দায়ী বলে মনে করছেন শেয়ারবাজার বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, দেশের বর্তমান পরিস্থিতির কারণে শেয়ারক্রয়ে সক্ষমদের ক্রয়ে অনীহা এবং ধীরে চলা নীতির কারনেই এই অবস্থা। পাশাপাশি ফ্লোর প্রাইস তুলে নিলে মার্জিন লোনে থাকা বিনিয়োগকারীরা ক্ষতির মুখে পড়বেন বলে মনে করছেন তারা।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) নিজের ফেসবুক পেইজে একটি পোস্ট দিয়ে এমনটা জানান বাজার বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আল-আমিন।
এই বিশ্লেষক জানান, পুঁজিবাজারের বর্তমান অবস্থা শুধুমাত্র যে বাজার কেন্দ্রিক, বিষয়টা তা নয়। দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থার একটা প্রভাব এখানে দেখা যাচ্ছে। যারা বলছেন ফ্লোর প্রাইস বাঁধা, আমার কাছে মোটেও এটা মনে হচ্ছে না। বরং যাদের ক্রয় ক্ষমতা আছে তারা বর্তমানে শেয়ার ক্রয়ে অনীহা এবং ধীরে চলা নীতিতে আছেন।
বাজার সংশোধনের কারণে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের রক্ষার্থে ফ্লোর প্রাইস দেয়া বলেও দাবী করেন অধ্যাপক আল-আমিন। তিনি জানান, প্রায় ৯ মাসের বাজার সংশোধনের কারণে অনেকটা নিরুপায় হয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বাঁচাতেই ফ্লোর প্রাইস দেয়া।
একই সাথে এই বিষয় সম্পর্কিত কোন প্রকার গুজবে কান না দিতেও পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সহযোগী অধ্যাপক। তিনি জানান, যাদের ক্রয় ক্ষমতা আছে তারা ক্রয় করেন বা বসে থাকেন, তবুও ফ্লোর প্রাইস নিয়ে কোন ধরনের চাপ দিবেন না। কারণ আপনারা সুবিধা পেলেও যাদের মার্জিন আছে তারা শেষ হয়ে যাবে। তাই নিজের অতি মুনাফার জন্যে অন্যের জীবন নিয়ে নিতে পারেন না। ফ্লোর প্রাইসের জন্য যদি সাধারণ বিনিয়োগকারীরা বাজারে টিকে থাকে তাতে আপনাদেরই সুবিধা। সবার ভালোর জন্যই ফ্লোর প্রাইস রাখতে হবে, ফ্লোর প্রাইস থাকতে হবে। এ নিয়ে কোন গুজবে দয়া করে কেউ কান দিবেন না। কারণ বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে ফ্লোর প্রাইস নিয়ে নতুন কোন সিদ্ধান্ত আসবে না, এমনটাই জানানো হয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষ থেকে।
উল্লেখ্য, শেয়ার বাজারের ক্রমাবনিত ঠেকাতে গত ২৮ জুলাই প্রতিটি কোম্পানির শেয়ারের সর্বনিম্ন দর ঠিক করে নির্দেশনা জারি করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। যা ৩১ জুলাই থেকে কার্যকর শুরু হয়। মূলত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকেই শেয়ার বাজারের ধারাবাহিক পতন শুরু হয়। এর আগে গত বছরের ১০ অক্টোবর সূচক সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৩৬৮ পয়েন্টে ছিল যা চলতি বছরের ঈদুল আযহার ছুটির পর ৬ হাজার পয়েন্টে নেমে আসে।
ইএফ