Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪,

‘ট্যাক্স গাইড ২০২২-২৩’ প্রকাশ

ব্যবসায়িদের আয়কর জ্ঞান অপরিহার্য: ডিসিসিআই সভাপতি

মো. মাসুম বিল্লাহ

ডিসেম্বর ৩, ২০২২, ০৫:১৪ পিএম


ব্যবসায়িদের আয়কর জ্ঞান অপরিহার্য: ডিসিসিআই সভাপতি

একজন উদ্যোক্তাকে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনার জন্য আয়কর ও ভ্যাট সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান রাখা অপরিহার্য বলে মনে করেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (ডিসিসিআই) সভাপতি রিজওয়ান রাহমান।

শনিবার (৩ ডিসেম্বর) ডিসিসিআই মিলনায়তনে ব্যবসায়িদের জন্য আয়োজিত ‘কাস্টমস্, ভ্যাট অ্যান্ড ইনকাম ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (আয়কর তথ্য ব্যবস্থাপনা ও সেবা) মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন।

ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, একজন উদ্যোক্তার ব্যবসায়িক কর্মকান্ড সফলভাবে পরিচালনা ও কৌশল নির্ধারণে কোম্পানির রাজস্ব ব্যবস্থাপনার জন্য আয়কর ও ভ্যাট সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান রাখা একান্ত অপরিহার্য।

তিনি বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে করজাল বৃদ্ধির জন্য ৩৮টি ক্ষেত্রে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা, ভ্যাটের কেন্দ্রীয় নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা, স্থানীয় পর্যায়ে কেমিক্যাল উৎপাদন ৬% ভ্যাট ছাড়, মূসক ফরমে পরিবর্তন এবং কম্পিউটার যন্ত্রাংশ আমদানিতে ভ্যাট বৃদ্ধিসহ বেশকিছু পরিবর্তন করা হয়েছে। এ ধরনের পরিবর্তন সম্পর্কে ব্যবসায়ি সম্প্রদায়কে অবশ্যই অবগত থাকতে হবে।

এছাড়া প্রতিবারের ন্যায় এবারো ব্যবসায়িদের জন্য ট্যাক্স গাইড প্রকাশ হয়েছে জানিয়ে রিজওয়ান রাহমান বলেন, বইটিতে আয়কর, ভ্যাট এবং কাস্টমস আইনের বিস্তারিত বিবরণী সন্নিবেশন করা হয়েছে, যা ঢাকা চেম্বারের সদস্যবৃন্দের পাশাপাশি দেশের ব্যবসায়ি সম্প্রদায়ের কাজে আসবে।

প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন বলেন, দেশের অর্থনীতির সার্বিক বিকাশ এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশ উন্নয়নে বেসরকারিখাতের সাথে আলোচনা করে নীতিমালা সংস্কার, যুগোপযোগীকরণ ও প্রয়োজনে নতুন নীতিমালা প্রণয়নের কাজ অব্যাহত রেখেছে এনবিআর। যা একটি চলমান প্রক্রিয়া।

তিনি জানান, বর্তমানে দেশে টিআইএন’ধারীর সংখ্যা ৮৩ লাখ হলে গত অর্থবছরে আয়কর রিটার্ন দাখিল হয়েছে মাত্র ২৫ লাখ ৩০ হাজার। বিষয়টি মোটেও আশাব্যঞ্জক নয় জানিয়ে বলেন, আয়কর রিটার্ন দাখিলের ব্যাপারে ব্যক্তি পর্যায়ে আরো উদ্যোগী ও সচেতনতা বাড়াতে হবে। তিনি উল্লেখ করেন, আয়কর, ভ্যাট ও শুল্ক ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা আনতে এনবিআরের কার্যক্রমে ডিজিটাল ব্যবস্থা চালুর উপর বেশি প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে জনগণের ভোগান্তি কমবে এবং রাজস্ব আহরণের হার বৃদ্ধি পাবে।

এনবিআর’র এই সদস্য বলেন, দেশে আয়কর প্রদানে সক্ষম লোকের সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ১৬ লাখ। যদিও এ বিপুল জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ এনবিআরের কর ব্যবস্থাপনার বাইরে রয়েছে, তবে করজাল সম্প্রসারণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সারাদেশে কর অঞ্চলের অফিস বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

কর্মশালায় দুটি মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিসিসিআই’র কাস্টমস্, ভ্যাট অ্যান্ড এনবিআর বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির উপদেষ্টা স্নেহাশিষ বড়ুয়া এবং যুগ্ম-আহ্বায়ক এমবিএম লুৎফুল হাদী, এফসিএ। এছাড়াও মুক্ত আলোচনা পর্বে ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি আরমান হক সরকারের রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে করদাতা ও রাজস্ব কর্মকর্তাদের মধ্যে সম্প্রতি আরো বাড়ানোর উপর জোরারোপ করেন।

টিএইচ

Link copied!