Amar Sangbad
ঢাকা রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪,

নভেম্বরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে ৮.৮৫ শতাংশ

মো. মাসুম বিল্লাহ

ডিসেম্বর ৫, ২০২২, ০৩:৪১ পিএম


নভেম্বরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে ৮.৮৫ শতাংশ

নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি আরও কমেছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। বিবিএসের সর্বশেষ প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বর মাস শেষে মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৮৫ শতাংশে, যা গত মাসে ছিল ৮ দশমিক ৯১ শতাংশ। সেপ্টেম্বরে এ হার ছিল ৯ দশমিক ১০ ও আগস্টে ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ।

সবজিসহ নানা খাদ্যপণ্যের দাম কমেছে বলে দাবি করেছে বিবিএস। সংস্থাটি বলছে, নভেম্বর মাসে খাদ্যপণ্যের দাম কমে মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ১৪ শতাংশ হয়েছে, যা গত মাসে ছিল ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ।

সোমবার (৫ ডিসেম্বর) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান মূল্যস্ফীতির সর্বশেষ তথ্য প্রকাশ করেন।

এ সময় তিনি দেশের সার্বিক মজুরি বাড়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, মজুরি সূচক নভেম্বরে ছিল ৬ দশমিক ৯৮ শতাংশ। আগের মাসে যা ছিল ৬ দশমিক ৯১ শতাংশ।

দেশের অর্থনীতির বিষয়ে তিনি বলেন, অর্থনীতিতে এখনো আঘাত লাগছে, তবে আঘাতের তীব্রতা কিছুটা কম। এখনো নিম্ন ও মধ্যবিত্তের ওপর বাজারের চড়া দামের চাপ রয়েছে।

তাই মূল্যস্ফীতি আরও নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি আরও কমবে। গত তিন মাসে ধারাবাহিকভাবে মূল্যস্ফীতি হ্যাটট্রিক হয়েছে। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমে যাওয়ায় আমাদের দেশে অবশ্যই এর প্রভাব পড়বে। আমাদের ধান ও সবজি উৎপাদন ভালো হয়েছে। সরকার জ্বালানি কেনে এবং বিক্রি করে। সামাজিক ও বাস্তব কারণে দাম বাড়াতে হয়। বিশ্ববাজারে দাম কমলে আজ না হয় কাল, আমাদের দেশেও দাম কমবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমানে ৪২২টি পণ্যের ওপর মূল্যস্ফীতি যাচাই করা হয়। এখন সেগুলো আবার পুনর্বিবেচনা করা হবে। কেননা এখানে সোনার দামও ধরা হয়েছে। সোনার দাম বাড়লে মূল্যস্ফীতিতে প্রভাব পড়ে। এছাড়া মাখন ও কফিসহ এরকম অনেক পণ্যের দামও ধরা হয়। এগুলো সংশোধন করা হবে।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মধ্যবিত্তের দিকে আলাদা কোনো টার্গেট নেই সরকারের। অর্থনৈতিক, মানবিক ও রাজনৈতিক কারণে নজর দেওয়া হচ্ছে নিম্নবিত্তের দিকে।

চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ, যা লাফিয়ে বেড়ে অর্থবছরের সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৫২ শতাংশে উঠে যায়। পরে তা কিছুটা কমে সেপ্টেম্বরে ৯ দশমিক ১০ শতাংশ হয়। পরে অক্টোবরেও মূল্যস্ফীতি কমে ৮ দশমিক ৯১ শতাংশে নামে।

এর আগে ৬ সেপ্টেম্বরে এনইসি সম্মেলনকক্ষে ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ডিজেএফবি) আয়োজিত উন্নয়ন সংলাপে অক্টোবর থেকে মূল্যস্ফীতি কমে আসার আশা প্রকাশ করেছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। 

টিএইচ

Link copied!