জানুয়ারি ১০, ২০২৩, ০৬:১৩ পিএম
বিদায়ী ২০২২ অর্থবছরে বীমা গ্রাহকদের উত্থাপিত শতভাগ দাবি পরিশোধ করেছে জেনিথ ইসলামী লাইফ। একই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির বিনিয়োগের প্রবৃদ্ধিও ঘটেছে উল্লেখযোগ্য হারে। এমনটাই জানা গেছে কোম্পানি সংশ্লিষ্ট সূত্রে।
সূত্র জানায়, ২০১৩ সালে অনুমোদন পাওয়া প্রতিষ্ঠানটিতে ২০২২ সালে বীমা গ্রাহকদের দাবি উত্থাপনের পরিমাণ ছিল এক হাজার এবং অর্থের হিসাবে ৫ কোটি ২৬ লাখ টাকা। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, বর্তমানে তাদের কোনো ক্লেইম পেন্ডিং নেই।
তথ্যমতে, ২০২২ সালে প্রতিষ্ঠানটিতে মোট উত্থাপিত বীমা দাবির পরিমাণ ৯৯৬টি। এসব দাবির বিপরীতে অর্থের পরিমাণ ৫ কোটি ২৬ লাখ ১৩ হাজার ৩৮২ টাকা। এর মধ্যে ৪৬টি মৃত্যুদাবি বাবদ ৯৬ লাখ ৯৯ হাজার ১৭৮ টাকা, ৮৯টি স্বাস্থ্যবীমা দাবি বাবদ ২৬ লাখ ২২ হাজার ৬৬৪ টাকা, ১০টি মেয়াদোত্তীর্ণ দাবি বাবদ ২৪ লাখ ৮৮ হাজার টাকা এবং ৮২১টি সার্ভাইবাল বেনিফিট (এসবি) বাবদ ৩ কোটি ৭২ লাখ ৩৩ হাজার ৬৩ টাকা।
২০২১ সালে প্রতিষ্ঠানটিতে মোট ৭৪১ টি বীমা দাবি উত্থাপন হয়। এসব বীমা দাবির মধ্যে ৩৪ টি মৃত্যু দাবি, ২৭টি স্বাস্থ্যবীমা দাবি, ৫টি মেয়াদোত্তীর্ণ দাবি, ৬৩৩টি এসবি এবং ৪২টি সমর্পণ (স্যারেন্ডার) মূল্য ছিল। উত্থাপিত এই দাবির অর্থমূল্য বাবদ ৩ কোটি ৭ লাখ ৩৩ হাজার ৩৯০ টাকা পরিশোধ করে কোম্পানিটি।
দাবি পরিশোধের বিষয়ে কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এস এম নুরুজ্জামান বলেন, জেনিথ ইসলামী লাইফ দেশের একমাত্র কোম্পানি যারা বীমা দাবির কাগজপত্র অনলাইন মাধ্যমে পাঠালেই দাবি পরিশোধ করে। এক্ষেত্রে গ্রাহকদের মূল কাগজপত্র পাঠাতে হয় না। প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ দাবি উত্থাপনের মাত্র ৭ কার্যদিবসেই দাবি নিষ্পত্তি করা হয়। এমনকি আরো কম সময়েও দাবি পরিশোধ করে চতুর্থ প্রজন্মের এই বীমা কোম্পানি।
তিনি আরো বলেন, সকল বীমা দাবির টাকা গ্রাহকের ব্যাংক একাউন্টে অথবা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রদান করা হয়। এক্ষেত্রে বীমা দাবির চেক গ্রহণের জন্য কোনো গ্রাহকের সময় ক্ষেপন করতে হয় না। কোম্পানির প্রধান কার্যালয় বা শাখা অফিসেও ধর্ণা দিতে হয় না। এমনকি চেক নগদায়নে জন্য গ্রাহককে ব্যাংকে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না। যথাসময়েই গ্রাহকরা তাদের বীমার টাকা হাতে পেয়ে যান।
বিনিয়োগ বেড়েছে ৪৫ শতাংশ : যে কোনো ব্যবসায় সমৃদ্ধি অর্জনের প্রথম ধাপ সঠিকখাতে সম্পদ বিনিয়োগ ও সেখানে থেকে রিটার্ন। এক্ষেত্রেও বিগত বছরে অবদান রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি। শুধু বীমা দাবিই নয়, প্রতিষ্ঠানটি ২০২১ সালে চেয়েও ৪৫ শতাংশ বেশি বিনিয়োগ করেছে সদ্য সমাপ্ত বছরে। ২০২১ সালে প্রতিষ্ঠানটির মোট বিনিয়োগ ছিল ১৯ কোটি ৫১ লাখ ৮৫ হাজার ৩৫৯ টাকা, যা ২০২২ সালে ২৮ কোটি ২২ লাখ ৫৭ হাজার ৩৯৪ টাকায় দাঁড়িয়েছে। এক্ষেত্রে ২০২১ সালের চেয়ে ৮ কোটি ৭০ লাখ ৭২ হাজার ৩৫ টাকা বিনিয়োগ বেড়েছে প্রতিষ্ঠানটির। এছাড়া মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৬ কোটি টাকারও বেশি।
এআরএস/ এবি