Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪,

সরকারী সিকিউরিটিজের লেনদেন নিয়ে ডিএসই’র কর্মশালা

বন্ড মার্কেট সফল করতে বিএসইসি’র তাগিদ

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক

জানুয়ারি ১০, ২০২৩, ০৭:৫৩ পিএম


বন্ড মার্কেট সফল করতে বিএসইসি’র তাগিদ

যে উদ্দেশ্য নিয়ে বন্ড মার্কেট চালু তা যেন বাস্তবায়ন হয়, সে জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে জোর চেষ্টা চালাতে আহ্বান জানিয়েছেন বিএসইসি কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ। মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাল্টিপারপাস হলে আয়োজিত ‘স্টক এক্সচেঞ্জ প্ল্যাটফর্মে সরকারি সিকিউরিটিজের লেনদেন’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। সরকারি সিকিউরিটিজগুলোর লেনদেনকে গতিশীল করার লক্ষে ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে ট্রেকহোল্ডার ও প্রধান নির্বাহীদের নিয়ে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। ডিএসই চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে আরো উপস্থিত ছিলেন ডিএসই’র ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. সাইফুর রহমান মজুমদার এবং সিএসই’র ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ গোলাম ফারুক।

প্রধান অতিথি বক্তব্যে বিএসইসি কমিশনার বলেন, সরকারি সিকিউরিটিজের চেয়ে নিরাপদ বিনিয়োগ আর কিছু হয় না। এমনকি বিশ্বেও সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগে জনপ্রিয়তা রয়েছে। এই সরকারি সিকিউরিটিজে যারা বিনিয়োগ করবে তারা যেন দ্রুত লিকুইডিটি পায় সেই বিষয়ে বিএসইসি কাজ করছে। আমাদের সবাইকে চেষ্টা করতে হবে, যে উদ্দেশ্যে বন্ড মার্কেট চালু করা হয়েছে তা যাতে বাস্তবায়ন করা যায়।

সকলের চাওয়ার প্রেক্ষিতে পুঁজিবাজারের সরকারি সিকিউরিটিজ লেনদেন শুরু হয়েছে জানিয়ে ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, শুধু সরকারি সিকিউরিটিজ যোগানের কথা চিন্তা করলে হবে না, একই সাথে চাহিদার কথা মাথায় রাখতে হবে। যদি চাহিদা বৃদ্ধি পায় তবে সরকারি সিকিউরিটিজের একটি ভাল প্রাইস হবে।

তিনি আরো বলেন, আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বন্ডের ক্ষেত্রে কোন ফি নেই। এটি কিভাবে আরও বাড়ানো যায়, সে বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে। আমি প্রথম থেকে চেষ্টা করেছি বন্ডের উপর প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করার। ইতিমধ্যে চারটি প্রশিক্ষণ কর্মশালা হয়েছে। এর পরিমাণ আরও বাড়াতে হবে। এছাড়াও বন্ডকে জনপ্রিয় করার জন্য ক্যাম্পেইন করতে হবে। গভর্মেন্ট বন্ডের নিলামের সময়কে সবার কাছে তুলে ধরার জন্য আমাদের চেষ্টা করতে হবে। আমি আশা করি সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি কার্যকর বন্ড মার্কেট গড়ে উঠবে।

ডিএসইর চেয়ারম্যান মোঃ ইউনুসুর রহমান বলেন, এখানে ব্যাংকের যে প্রতিনিধিবৃন্দ রয়েছে তাদের প্রতি আমার অনুরোধ আপনারা বর্তমান পদ্ধতির মধ্যে দুই একটা ট্রেডিং করান। তাহলে আমরা আজকের আলোচনার কার্যকারিতা দেখতে পাবো। এছাড়াও এক্সচেঞ্জের প্লাটফর্মে বন্ডের অকশনের বিষয়ে ডিএসই ও সিএসই যদি একটি প্রস্তাবনা বিএসইসিতে পাঠায়, বিএসইসি পরবর্তীতে বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয়কে জানাবে। পরবর্তীতে অর্থ মন্ত্রণালয় এর উপর কাজ করবে আর আমরা দ্রুত একটি ফলাফল পাব।

তিনি আরও বলেন, এখানে যারা উপস্থিত আছেন সকলে আর্থিক খাতের লোক। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫১ বছরে আমরা অনেক উন্নতি করেছি। আর এই সময়ে সবচেয়ে বেশি সমালোচনা হয়েছে আর্থিক খাত নিয়ে। আমাদেরকে এসব কাটিয়ে উঠতে হবে। পুঁজিবাজার ও বীমা খাত তুলনামূলকভাবে দূর্বল। আমাদের ব্যাংকিং খাত দূর্বল নয়। কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন সমালোচনার মধ্যে পড়ে গেছে। এগুলো থেকে উত্তোলনের জন্য অনেক কাজ করতে হবে। আমাদের পুঁজিবাজারের মূল উন্নয়ন ১৯৯০ সালের পর থেকে শুরু হয়েছে। এ সময়ে আমরা প্রচুর আইন-কানুন করেছি। সে জায়গায় কোন ঘাটতি নেই। বর্তমান কমিশন প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট, গুড গর্ভনেন্স এবং ব্রান্ডিংয়ের বিষয়ে কাজ করছে। আমরা আশাবাদি এই কমিশনের নেতৃত্বে পুঁজিবাজার সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।

উল্লেখ্য, স্টক এক্সচেঞ্জ সামগ্রিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করে গত ১০ অক্টোবর ২০২২ তারিখে ৩ লাখ ১৬ হাজার ৮০৮ কোটি টাকা বাজার মূলধন নিয়ে ডিএসই’র ট্রেডিং প্লাটফর্মে ২ থেকে ২০ বছর মেয়াদী ২৫০টি সরকারি সিকিউরিটিজ লেনদেনের শুরু হয়। এটি পুঁজিবাজারের একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

এবি

Link copied!