জানুয়ারি ১৩, ২০২৩, ০৮:০২ পিএম
ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ে চলতি অর্থ বছরের বিগত জুলাই থেকে ডিসেম্বর-২০২২ পর্যন্ত ছয় মাসে রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, দিনাজপুর ঠাকুরগাঁও এবং পঞ্চগড় জেলার বিভিন্ন হাট-বাজার, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে ভেজাল বিরোধী সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে।
একই সঙ্গে ভোক্তা সাধারণের স্বার্থ সংরক্ষণে ব্যাপক তৎপরতার সঙ্গে পৃথক অভিযান পরিচালনা করা হয়। আর এসব অভিযানে আদায় হয় কোটি টাকার রাজস্ব।
এসব অভিযানে বিভাগের আট জেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ও শপিংমলে এক হাজার ৮২৯টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে পণ্যের মোড়ক ব্যবহার না করা, মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, সেবার মূল্য তালিকা সংরক্ষণ ও প্রদর্শন না করা, ধার্যকৃত মূল্যের চেয়ে অধিক মূল্যে পণ্য বা ওষুধ বিক্রয়, ভেজাল পণ্য বা ওষুধ বিক্রয়, খাদ্যদ্রব্যে নিষিদ্ধ দ্রব্যের মিশ্রণ, অবৈধ প্রক্রিয়ায় পণ্য উৎপাদন বা প্রক্রিয়া করন, মিথ্যা বিজ্ঞাপন দ্বারা ক্রেতা সাধারণকে প্রতারিত করা, প্রতিশ্রত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে প্রদান না করা, ওজনে বা পরিমাপে কম দেওয়া, নকল পণ্য উৎপাদন, মেয়াদ উর্ত্তীণ পণ্য বা ওষুধ বিক্রয়সহ বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরিচালিত অভিযানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইন-২০০৯ এর আলোকে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড শাস্তি প্রদান করা হয়।
গত ছয় মাসে ভোক্তা অধিকার পরিপন্থী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে মোট ৮৭ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া ভোক্তা সাধারণের সঙ্গে প্রতারণাসহ বিভিন্ন অধিকার ক্ষুণ্নের কারণে ভোক্তাদের পক্ষ থেকে একই সময়ে ভোক্তা অধিকার অধিদফতরের রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়সহ ৮ জেলার জেলা কার্যালয়ে মোট ২৪৪টি অভিযোগ দায়ের করা হয়।
এ সময়ে পূর্ববর্তী বছরের অভিযোগসহ মোট ২৬৫টি অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হয়। বর্তমানে ১৬১টি অভিযোগ অনিষ্পত্তি অবস্থায় রয়েছে।
তদন্তে অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে ৩৪টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে জরিমানা করে তাদের নিকট থেকে ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। আদায়কৃত জরিমানার অর্থ থেকে ভোক্তা অধিকার বিধান অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ২৪ জন অভিযোগকারীকে আদায়কৃত অর্থের মধ্য থেকে ২৫ শতাংশ হিসেবে ৪১ হাজার ২৫০ টাকা প্রদান করা হয়। এ সময়ে আদায়কৃত অর্থ থেকে সরকারি কোষাগারে ৮৮ লাখ ৫৩ হাজার ৭৫৫ টাকা রাজস্ব জমা করা হয়েছে।
ভোক্তা অধিকার অধিদফতর রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আজাহারুল ইসলাম জানান, ভোক্তা সাধারণের স্বার্থ সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ২০০৯ সালের বিধান প্রতিপালন এবং সেই অনুযায়ী ভোক্তা অধিকার বিরোধী কার্য প্রতিরোধের লক্ষ্যে ও তৎসংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে পণ্য উৎপাদন বা প্রস্তত, বা বিক্রয়কালীন ভোক্তা র্স্বাথ অধিকার ব্যহত করার বিরুদ্ধে আমাদের চলমান অভিযান এবং কার্যক্রম অব্যহত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া ভোক্তা সাধারণ প্রতিনিয়ত যে সব পণ্য ক্রয় করতে গিয়ে জীবন ও সম্পদের ক্ষতিসহ নানাভাবে প্রতারিত হচ্ছেন, সেসব বিষয়ে প্রতারক ও জালিয়াত চক্রের বিরুদ্ধে আমাদের সম্মিলিত অভিযান আরো জোরদার করা হবে।
এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের আট জেলার কর্মকর্তাগণ গত ছয় মাসে বিভিন্ন এলাকায় ৬২টি সচেতনতামূলক সভা ও ৫০টি সেমিনারেরও আয়োজন করা হয়েছে।
এআরএস