Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ০১ এপ্রিল, ২০২৫,

মালয়েশিয়ায় পাম অয়েলের মজুত কমেছে

মো. মাসুম বিল্লাহ

ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৩, ০৬:২৮ পিএম


মালয়েশিয়ায় পাম অয়েলের মজুত কমেছে

মালয়েশিয়ায় গত মাসে পাম অয়েল উৎপাদন ও রপ্তানি; দুটোই কমেছে। এতে দেশটিকে বিদ্যমান মজুত থেকেই চাহিদা পূরণ ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে হয়েছে। এ কারণে ওই মাসে পাম অয়েলের মজুত কমে পাঁচ মাসের সর্বনিম্নে নেমেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক সমীক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

এ সমীক্ষায় অংশ নেয় ১১টি উৎপাদন প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়ী ও বাজার বিশ্লেষক কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।

সমীক্ষার তথ্যমতে, জানুয়ারিতে পাম অয়েলের মোট মজুতের পরিমাণ ছিল ২১ লাখ ৮০ হাজার টন, যা ডিসেম্বরের চেয়ে দশমিক ৬৬ শতাংশ কম।

মালয়েশিয়া বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ পাম অয়েল উৎপাদক। মৌসুমি ঝড় ও বন্যায় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন দেশটির পাম অয়েল উৎপাদকরা। বৈরী আবহাওয়ার প্রভাবে গত মাসে দেশটিতে পাম অয়েল উৎপাদন ১৪ দশমিক ১ শতাংশ কমেছে। মাসভিত্তিক উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৯০ হাজার টনে, যা এক বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।

পণ্যটির রপ্তানি ২১ দশমিক ৭ শতাংশ কমে সাড়ে ১১ লাখ টনে নেমেছে। মূলত শীর্ষ ক্রেতা দেশ চীন ও ভারতে জাহাজীকরণের পরিমাণ শ্লথ হয়ে আসায় রপ্তানিতে নিম্নমুখী প্রবণতা তৈরি হয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, আগামী মাসগুলোয় পাম অয়েলের চাহিদা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ রমজান মাস উপলক্ষে ক্রেতা দেশগুলো পণ্যটির মজুত বাড়বে। ২২ মার্চ রমজান মাস শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বাজার পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ট্রান্সগ্রাফ কনসাল্টিংয়ের এমডি নাগারাজ মেদা বলেন, ‘একদিকে নিম্নমুখী উৎপাদন অন্যদিকে আসন্ন রমজানের ঊর্ধ্বমুখী চাহিদায় আগামী মাসগুলোয় মালয়েশিয়ান পাম অয়েলের মজুত আরো কমতে পারে। এ বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) মজুতের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ১৯ লাখ টনে।’

তিনি আরো বলেন, ‘প্রতি টন পাম অয়েলের দাম ৩ হাজার ৬০০ রিঙ্গিত কিংবা তার চেয়ে বেশি দামে লেনদেন হচ্ছে। আগামী মাসগুলোয় তা বেড়ে ৪ হাজার ৫০০ রিঙ্গিতে উন্নীত হতে পারে। এছাড়া ইন্দোনেশিয়ায় বায়োডিজেলে পাম অয়েলের ব্যবহার বৃদ্ধি ও দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোয় ভোজ্যতেলের উৎপাদন কমে যাওয়াও মূল্যবৃদ্ধির পেছনে বড় ভূমিকা রাখবে।’

এআরএস  
 

Link copied!