ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৩, ০৬:২৪ পিএম
চরম আর্থিক সংকটে ভুগছে পাকিস্তানে। মূল্যস্ফীতির চাপে নাকাল দেশটির নাগরিকরা। এর মাঝেই চাঞ্চল্যকর এক স্বীকারোক্তি দিলেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
সম্প্রতি দেশটির সিয়ালকোটে একটি সম্মেলনে মুসলিম লিগ নেতা ও পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেছেন, ‘পাকিস্তান দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। এ দেশের নাগরিকরা দেউলিয়া রাষ্ট্রের বাসিন্দা।’ তার এমন স্বীকারোক্তি দেশটির মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষ মন্ত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘আপনারা শুনছেন, দেশে ঘোর আর্থিক সংকট। দেশ (পাকিস্তান) নাকি দেউলিয়া হয়ে যাবে। দেশ দেউলিয়া হয়ে যাবে নয়, দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে।’
তবে তিনি কেন বা কী প্রেক্ষিতে এ কথা বলেছেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। এ প্রসঙ্গে পাকিস্তানের তরফেও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
তবে এই প্রথমবার নয়, ইতিহাস বলছে, এর আগে তিন-তিনবার দেউলিয়া হয়েছে পাকিস্তান। প্রথমবার ১৯৭১-এ বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সর্বস্ব হারিয়ে দেউলিয়া হয়েছিল পাকিস্তান। যুদ্ধে পর্যদুস্ত হওয়ার পাশাপাশি দেশের ভেতরে নেমে এসেছিল চরম আর্থিক সংকট। কোনওক্রমে সে যাত্রায় মুক্তি পেয়েছিল ইসলামাবাদ।
এরপর ১৯৮৮ সালে আরও একবার পাকিস্তাকে দেউলিয়া ঘোষণা করা হয়। সে বছর আন্তর্জাতিক রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে পারমাণবিক বিস্ফোরণ বা নিউক্লিয়ার টেস্ট করেছিল তারা। এতে ইসলামাবাদের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপায় পশ্চিমা দুনিয়া। যদিও পরে আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের আর্থিক অনুদানের হাত ধরে অল্প সময়ের মধ্যেই পরিস্থিতি সামলে নেয় তারা।
এর ঠিক চার বছর পর ২০০২ সালে ফের একবার দেউলিয়া হয়ে যায় পাকিস্তান। এবারও বিদেশি ঋণে জর্জরিত পাকিস্তানে চরম আর্থিক সংকট। আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের অনুদানের হাত ধরে পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা চালাচ্ছে শাহবাজ শরিফ প্রশাসন।
সূত্র: টাইমস নাউ
এআরএস