নিজস্ব প্রতিবেদক
মার্চ ৩, ২০২৩, ০১:৫৪ পিএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
মার্চ ৩, ২০২৩, ০১:৫৪ পিএম
নিত্যপণ্যের দাম দিনদিন হাতের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের। এক মাসের ব্যবধানে ব্রয়লারের দাম বেড়েছে প্রায় ১০০ টাকা। ঊর্ধ্বমুখী গরুর মাংসের দাম, সুখবর নেই মাছের বাজারেও। রোজার আগেই অস্বাভাবিক হয়ে উঠেছে মাংসের বাজার। আর শীত শেষে কেজিতে ৫-১০ টাকা বাড়তি সবজির দাম। এ অবস্থায় খরচের ধাক্কা সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন ভোক্তারা। যদিও এখনও স্থিতিশীল চাল, ডাল, তেলের মতো নিত্যপণ্যের দাম।
শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক মাসের ব্যবধানে কেজিতে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে প্রায় ১০০ টাকা। আর এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে ২০ টাকা। গত সপ্তাহে দাম কমে ২৩০ টাকা কেজিতে ব্রয়লার বিক্রি হলেও, সংকট থাকায় খামার পর্যায়ে আবারও বেড়ে গেছে দাম। বর্তমানে ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা কেজি। আর সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ টাকা কেজি দরে।
একইভাবে খাসি ১১০০ ও গরুর মাংসের দাম ঠেকেছে ৭৫০ টাকায়।
এদিকে মুরগির দামের এই বৃদ্ধিকে অস্বাভাবিক বলছেন খোদ বিক্রেতারাও। এতে তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এক বিক্রেতা বলেন, মুরগির দাম অতিরিক্ত বেশি, যা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। কিন্তু হঠাৎ কেন এমন অসহনীয় হয়ে উঠল বাজার? সর্বোচ্চ কত টাকা হতে পারে এক কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম?
সম্প্রতি বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার বলেন, ‘এত বাড়ার কথা নয়। কেন মুরগির দাম এত বেশি বাড়বে? কেন আড়াইশ টাকা কেজি হবে? আমাদের উৎপাদন খরচ সমন্বয় করে ব্রয়লার মুরগির সর্বোচ্চ বাজার দর হওয়া উচিত ২০০ টাকা কেজি।’
মাংসের উত্তাপ ছড়িয়েছে মাছের বাজারেও। প্রকারভেদে সাধারণ চাষের মাছের দাম কেজিতে বেড়েছে প্রায় ৪০-৫০ টাকা পর্যন্ত। অন্যদিকে ইলিশ-চিংড়ির পাশাপাশি দেশি পদের (উন্মুক্ত জলাশয়ের) মাছগুলোর দাম বেড়েছে ১০০-৩০০ টাকা পর্যন্ত।
তবে বাজারে ডাল, ছোলা, চিনি ও তেলসহ বেশির ভাগ খাদ্যপণ্যের দাম রয়েছে আগের মতোই। আপাতত নেই সংকট, তবে রোজাকে কেন্দ্র করে আমদানি পর্যায়ে দাম তদারকি জোরদার করার দাবি খুচরা ব্যবসায়ীদের।
এদিকে শীতের শেষে সবজির সরবরাহ কমেছে। তাই শিম, শশা, লাউ, কুমড়া, বেগুনসহ বেশির ভাগ সবজির দাম বেড়েছে কেজিতে ৫-১০ টাকা। রাজধানীর বাজারে প্রায় দু-মাস ধরে স্থিতিশীল রয়েছে চালের দাম।
বাজার সহনীয় রাখতে খুচরা বাজারের পাশাপাশি আমদানি পর্যায়ে দাম মনিটরিংয়ে জোর দেয়ার দাবি সংশ্লিষ্টদের।
আরএস