Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪,

বাজারদর: গরু ৮০০, মুরগি ২৬০ টাকা!

মো. মাসুম বিল্লাহ

মার্চ ১০, ২০২৩, ০৩:২২ পিএম


বাজারদর: গরু ৮০০, মুরগি ২৬০ টাকা!

মানুষের খাবারের পাতে টান লেগেছে প্রোটিন ও আমিষের। সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে মাংসের বাজার। বেড়েই চলেছে গরু, খাসি ও ব্রয়লার মুরগির দাম।

রাজধানীর মিরপুরে বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৬০ থেকে ৮০০ টাকা দরে। ব্রয়লার মুরগির কেজি ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা। এতো দাম দিয়ে মাংস কেনা নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের জন্য অসম্ভব হয়ে পড়েছে। একেবারেই ঠেকায় না পড়লে নিম্ন ও মধ্যবিত্তের ক্রেতারা মাংস কেনা বন্ধ করে দিয়েছেন। আজ শুক্রবার (১০ মার্চ) সকালে মিরপুরের ১১ নম্বর বাজারে এ চিত্র দেখা যায়।

এদিকে অতিরিক্ত দামের কারণে অনেক গরু মাংস ও মুরগি বিক্রেতা দোকানে অলস সময় পার করছেন। ক্রেতা ও বিক্রেতারা জানান, বাজারে গরুর মাংস বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ৭৬০ থেকে ৮০০ টাকা। এক সপ্তাহ আগেও গরুর মাংস বিক্রি হতো ৭২০ থেকে ৭৫০ টাকায়। বাজারে খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৫০ থেকে ১১শ টাকা দরে। আগে বিক্রি হতো এক হাজার টাকায়।

বাজারে আবারও দাম বেড়েছে মুরগির। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা দরে। যা গত সপ্তাহে ছিল ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৩৭০ টাকা দরে। দুই সপ্তাহ আগে সোনালি মুরগির কেজি ছিল ৩১০ থেকে ৩২০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকা। গত সপ্তাহে লেয়ার মুরগির কেজি ছিল ৩১০ থেকে ৩২০ টাকা।

মুরগি বিক্রেতা মো. আশিক বলেন, ফের মুরগির দাম বেড়েছে। ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম বাড়তি। রোজার আগ পর্যন্ত মুরগির দাম বাড়তি থাকতে পারে।

সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকারভেদে ফুলকপি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা, টমেটো ৩০ থেকে ৪০ টাকা, শিম প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৮০ থেকে ৯০ টাকা, চাল কুমড়া প্রতিটি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

লাউ প্রতিটি আকারভেদে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ১০০ টাকা, কচুর লতি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পেঁপে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা ও ধুন্দুল ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কমেছে কাঁচামরিচের দাম। বাজারে কাঁচামরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা দরে। দুই সপ্তাহ আগে কাঁচামরিচের কেজি ছিল ১৯০ থেকে ২০০ টাকা।  কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়।

১১ নম্বর বাজারের সবজিবিক্রেতা মো. আমিন বলেন, দুই-একটি সবজির দাম বাড়তি আছে। অন্য সবজির দাম তেমন বাড়েনি। আগের দামেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়। বড় রসুনের কেজি ১৪০ টাকা। ছোট রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা দরে। বাজারে আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায়।

বাজারে আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। বাজারে খোলা চিনি প্রতি কেজি ১১৫ থেকে ১২০ টাকা। খোলা আটার কেজি ৬০ টাকা। প্যাকেট আটার কেজি ৬৫ টাকা। দুই কেজির প্যাকেট আটা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। দেশি মসুরের ডালের কেজি ১৪০ টাকা। ইন্ডিয়ান মসুরের ডালের কেজি ১২০ থেকে ১২৫ টাকা। সয়াবিন তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৮৭ টাকায়। লবণের কেজি ৩৮ থেকে ৪০ টাকা।

বাজারে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম একটু কমেছে। ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২১০-২২০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ১৯০ থেকে ২০০ টাকা।

ডিম বিক্রেতা মো. কোমল বলেন, ফার্মের মুরগির ডিমের দাম কমেছে। ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। পাড়া-মহল্লার দোকানে ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায়।

এআরএস

Link copied!