নিজস্ব প্রতিবেদক
এপ্রিল ৭, ২০২৩, ০১:৫৮ পিএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
এপ্রিল ৭, ২০২৩, ০১:৫৮ পিএম
শীত মৌসুম শেষ হওয়ার পর থেকেই ঊর্ধ্বমুখী সবজির বাজার। দুই একটি সবজির দাম ৪০ টাকা হলেও বাকি সব সবজির দামে হাফ সেঞ্চুরি পার হয়েছে। কিছু সবজির দাম গিয়ে ঠেকেছে ৮০ টাকায়। এদিকে প্রতি কেজি সঁজনে বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৬০ টাকায়।
শুক্রবার (৭ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়, বরবটি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, পটল প্রতি কেজি ৮০ টাকা, ঢেঁড়স প্রতি কেজি ৭০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ৪০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৫০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৫০ টাকা, লাল আলু প্রতি কেজি ৪০ টাকা, সিম প্রতি কেজি ৬০ টাকা, মিস্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকা, মুলা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ১২০ টাকা এবং সঁজনে প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
মহাখালী বাজারে ছুটির দিনে বাজার করতে আসা ওলি আহমেদ বলেন, রমজান মাস পুরোটাই বাড়তি দামে সবজি কিনতে হলো। প্রতিটি সবজির দাম বাড়তি যাচ্ছে। বলতে গেলে ৫০ টাকার নিচে কোন সবজি পাওয়া যায় না বাজারে। সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সংশ্লিষ্টদের বাজার মনিটরিং করা উচিত।
এদিকে আজ ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকায়। পাশাপাশি সোঁনালি মুরগি প্রতি কেজি ৩৫০ থেকে ৩৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, এছাড়া লাল কক লেয়ার মুরগি ৩৩০ থেকে ৩৫০ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। রমজান মাসে চাহিদা বেড়েছে গরুর মাংসের। আজকের বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকায় আর খাসির মাংস ১০০০ টাকায়।
অন্যদিকে সব ধরনের মাছের দামও বাড়তি যাচ্ছে।
বাজারে প্রতি কেজি রুই ২৮০ থেকে ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, পাবদা প্রতি কেজি ৪৫০ টাকা, চাষের কই প্রতি কেজি ৩০০, শিং মাছ প্রতি কেজি ৪৫০ টাকা, তেঁলাপিয়া প্রতি কেজি ২২০ টাকা, পাঙাস প্রতি কেজি ২২০ টাকা, ছোট ট্যাংরা প্রতি কেজি ৫৬০ টাকা, চিংড়ি প্রতি কেজি ৭০০ টাকা, গলদা প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা, মলা প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতল মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, শোল মাছ প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজার নিয়ে সাধারণ ক্রেতা সবুজ মিয়া বলেন, সব ধরনের মাছের দাম বাড়তি যাচ্ছে। চাষের কই, পাঙাস, তেলাপিয়া এসব মাছ সাধারণ ক্রেতারা একটু বেশি কিনে। কিন্তু খাবারের দাম বৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে এসব মাছের দাম বাড়ার পর আর কমেনি।
আরএস