নিজস্ব প্রতিবেদক
এপ্রিল ২০, ২০২৩, ১২:৩৮ পিএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
এপ্রিল ২০, ২০২৩, ১২:৩৮ পিএম
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে সরকারি ছুটি শুরু হয়েছে। আর মাত্র একদিন পর অর্থাৎ ২১ এপ্রিল থেকে বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠানেও ঈদের ছুটি শুরু হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত মার্চ মাসের বেতন ও ঈদ বোনাস পায়নি প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কারখানার শ্রমিক।
শুধু তাই নয়, ৫০টির বেশি কল-কারখানার শ্রমিকরা এখনো ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন পায়নি। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বেতন-বোনাস নিয়ে শঙ্কা বাড়ছে শ্রমিকদের। এমন পরিস্থিতিতে ঈদ বোনাস ও অর্ধেক মাসের বেতনের দাবিতে কর্মবিরতি থেকে শুরু করে মহাসড়কও অবরোধ করছেন শ্রমিকরা।
কারখানা মালিকদের নেতারা আশ্বস্ত করছেন, বেতন ও বোনাস দিয়েই কল-কারখানায় ঈদের ছুটি দেওয়া হবে। ঈদের আগেই সব বেতন-বোনাস পরিশোধ করা হবে। অন্যদিকে ২৫ রমজান থেকে ২৭ রমজানের মধ্যে বেতন-বোনাস দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিক নেতারা।
বাংলাদেশ শিল্পাঞ্চল পুলিশের তথ্যমতে, দেশে মোট ৯ হাজার ৬১৬ কলকারখানা রয়েছে। এর মধ্যে মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) পর্যন্ত ৫ হাজার ৪৮৮টি কারখানার শ্রমিকদের মার্চ মাসের বেতন- ঈদ বোনাস পরিশোধ করা হয়নি। তার মধ্যে শ্রমিকদের মার্চ মাসের বেতন দেয়নি ১ হাজার ১৫৫টি কারখানা। আর বোনাস দেয়নি ৪ হাজার ৩৩৩টি কারখানার মালিকরা।
শিল্প পুলিশের তথ্যমতে, দেশের ৯ হাজার ৬১৬টি কল-কারখানার মধ্যে সর্বশেষ মার্চ মাসের শ্রমিকদের বেতন দিয়েছে ৮ হাজার ৪৬১টি। অর্থাৎ ১ হাজার ১৫৫টি কল-কারখানায় মার্চ মাসের বেতন হয়নি। শতাংশের হিসেবে ৮৭ দশমিক ৯৯ শতাংশ কারখানায় বেতন পরিশোধ করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে ১২ দশমিক ১ শতাংশ কারখানায় শ্রমিকদের বেতন বাকি রয়েছে।
এইচআর