Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ০৬ নভেম্বর, ২০২৪,

ফুলপুর বাজারে মাছসংকট, দাম চড়া

ফুলপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

ফুলপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

আগস্ট ১০, ২০২৩, ০৫:০৭ পিএম


ফুলপুর বাজারে মাছসংকট, দাম চড়া

ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার বাজারগুলোতে মাছের সংকট লক্ষ্য করা গেছে। আষাঢ়-শ্রাবণে অনাবৃষ্টির ফলে খাল-বিল, কংশ ও স্থানীয় খড়িয়া নদীতে পানি না থাকায় বাজারগুলোতে মাছের এ সংকট দেখা দিয়েছে বলে স্থানীয়দের ধারণা।

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) ফুলপুর পৌরসভার আমুয়াকান্দা, ছনকান্দা ও বাসস্টেশন এলাকার বাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন বাজারগুলোতে ঘুরে দেখা যায়, দেশীয় মাছের কোনো আমদানি বাজারে নেই। দূরদূরান্ত থেকে আসা অল্প পরিমাণ পাঙ্গাস ও বাংলা মাছ পাওয়া যাচ্ছে বাজারে, যা স্থানীয়দের চাহিদা মেটাতে পাচ্ছেনা।

মোহনগঞ্জ ও দেশের অন্যান্য স্থান থেকে আসা কিছু নদীর (বরফকৃত) মাছ পাওয়া যাচ্ছে বাজারে কিন্তুু সেগুলোর দাম অনেক চড়া। বর্তমানে বাজারগুলোতে আমদানিকৃত মাছের তুলনায় ক্রেতা চাহিদা বেশী হওয়ায় দাম অনেক বেশী।

স্থানীয় বাজারে ছোট সাইজের বাংলা মাছগুলো প্রতি কেজি ৩০০-৩৫০ টাকা, কই ২৩০-২৬০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০-২৪০ টাকা, পাঙ্গাস ১৮০-২০০ টাকা, নদীর ছোট মাছ (বরফকৃত) ৫০০-৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

আমুয়াকান্দা বাজারের একজন মাছ ক্রেতা রিক্সা চালক শামসুল হক বলেন, ১ ঘন্টা যাবৎ মাছ মহালে শুধু ঘুরতেছি কিন্তুু দামের কারণে কিনতে পাচ্ছিনা।

আরেক ক্রেতা আবুল মনসুর বলেন, বাজারে মাছের যা দাম তাতে মনে হয় আমরা মধ্যবিত্তরা আর বেশী দিন মাছ কিনে খেতে পারবো না।

মাছ বিক্রেতা জুয়েল রানা বলেন, ফিসারী ও আরৎ থেকেই বেশী দাম দিয়ে মাছ কিনতে হয়। বেশী দামে কিনে কম দামে বিক্রি করবো কিভাবে?

অপর মাছ বিক্রেতা তুলা মিয়া বলেন, প্রতি বৎসর বর্ষার মৌসুমে দেশী মাছে বাজার সয়লাভ থাকে। কিন্তুু এ বছর পরিস্থিতি উল্টো, তাই বাজার দরেই বাংলা মাছ বিক্রি করছি।

উপজেলা সহকারী মৎস কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা জানান, অনাবৃষ্টির কারণে খাল-বিল ও নদীতে পানি না থাকায় দেশী মাছগুলো বংশ বিস্তার করতে পাচ্ছেনা। তাই বাজারগুলোতে দেশী মাছের আমদানি নেই।

অন্যদিকে, তাপদাহের কারণে হ্যাচারীগুলোতেও মাছের পোনা উৎপাদন অনেকাংশে সমস্যা হচ্ছে। বৃষ্টির সাথে মাছের বংশ বিস্তার ও উৎপাদন বিশেষভাবে জড়িত।

মিজানুর/এআরএস

Link copied!