Amar Sangbad
ঢাকা রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪,

পোশাক কারখানায় নতুন শ্রমিক নিয়োগ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত বিজিএমইএর

মো. মাসুম বিল্লাহ

নভেম্বর ১০, ২০২৩, ০২:০৫ পিএম


পোশাক কারখানায় নতুন শ্রমিক নিয়োগ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত বিজিএমইএর

সারাদেশের সব পোশাক কারখানায় নতুন শ্রমিক নিয়োগ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। এজন্য সদস্যদের কারখানার গেটে নিয়োগ বন্ধ নোটিশ টাঙানোর নির্দেশনা দিয়েছে পোশাক মালিকদের এ সংগঠনটি।

গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) বিজিএমইএর মহাসচিব ফয়জুর রহমান স্বাক্ষরিত নির্দেশনাগুলোর অনুলিপি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।

এতে বলা হয়, আপনি অবগত আছেন যে, কোভিড অতিমারি পরবর্তী পরিস্থিতি, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ ইত্যাদি কারণে অর্ডার কমে যাওয়া এবং সাম্প্রতিককালে শ্রমিক অসন্তোষ, কারখানার কাজ বন্ধ, শ্রমিক-কর্মচারীদের মারধর, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, মালামাল লুটপাট ইত্যাদি জটিল পরিস্থিতির কারণে ৯ নভেম্বর বিজিএমইএতে পোশাক শিল্প মালিকদের সমন্বয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান।

সর্বসম্মতিক্রমে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্তগুলো গৃহীত হয়-

১. এখন থেকে বাংলাদেশে অবস্থিত সব পোশাক শিল্প কারখানাতে সব ধরনের নতুন নিয়োগ বন্ধ থাকবে। প্রতিটি কারখানার গেটে ‘নিয়োগ বন্ধ’ কথাটি লিখে ব্যানার টাঙিয়ে দিতে হবে।

২. যেসব কারখানায় অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর বা মারামারির ঘটনা সংঘটিত হয়েছে, সেসব কারখানা কর্তৃপক্ষকে নিকটস্থ থানায় প্রমাণস্বরূপ ছবি ও ভিডিও ফুটেজসহ মামলা করতে হবে। এক্ষেত্রে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের নাম জানা না থাকলে অজ্ঞাতনামা উল্লেখ করে মামলা করা যাবে। মামলা করার সঙ্গে সঙ্গে এর একটি কপি মেজর (অব.) মো. সাইফুল ইসলাম, সিনিয়র অতিরিক্ত সচিব, বিজিএমইএর কাছে পাঠাতে হবে।

৩. যেসব কারখানার শ্রমিকরা কারখানায় প্রবেশ করে কাজ করা থেকে বিরত থাকবে বা কারখানা ছেড়ে বেরিয়ে যাবে, সেসব কারখানার মালিক বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ধারা ১৩(১) এর বিধান মোতাবেক কারখানা বন্ধ করে দেবেন।

৪. যেসব কারখানায় অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর বা মারামারির ঘটনা সংঘটিত হয়েছে, সেসব ঘটনার ছবি ও ভিডিও ফুটেজ (যদি থাকে) অতিসত্বর মো. জাকারিয়া, সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট, বিজিএমইএর কাছে পাঠাতে হবে।

এআরএস

Link copied!