নভেম্বর ১৬, ২০২৩, ০৫:৪৭ পিএম
আন্তর্জাতিক জ্বালানি সরবরাহকারীদের কাছে ৯৭ কোটি মার্কিন ডলার বকেয়া পড়েছে বাংলাদেশের। জ্বালানি তেল ও এলএনজি আমদানি বাবদ বিপিসি ও পেট্রোবাংলার কাছে এই অর্থ পাবে বিদেশি তেল-গ্যাস কোম্পানিগুলো।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সিপিডির ডিরেক্টর রিসার্চ ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, আমদানি প্রবণতার কারণে পেট্রোবাংলা ও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের বকেয়া বাড়ছে। পেট্রোবাংলা ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্স করপোরেশনের (আইটিএফসি) কাছে ৬ মাসের জন্য ৫০ কোটি ডলার সিন্ডিকেট ঋণ নিচ্ছে। সিন্ডিকেট ঋণ সাময়িক সময়ের জন্য স্বস্তি মনে হলেও বিপদ বাড়াবে। কারণ তখন সুদও দিতে হবে।
তিনি বলেন, দেশীয় জ্বালানি উত্তোলনে গুরুত্ব না দিয়ে আমদানিতে জোর দেওয়ায় আজকের এই সংকট। পুরোনো গ্যাস কূপের সংস্কার যথাসময়ে হলেও এই সংকট হতো না। যত দ্রুত সম্ভব আমদানি কমানোর উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। পাশাপাশি বিকল্প জ্বালানির দিকে যেতে হবে। তাহলে ডলার সংকট দূর হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে মোয়াজ্জেম বলেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্র এক সময় উদ্বৃত্ত ছিল, এখন বাহুল্য হয়ে গেছে। ৫১ শতাংশ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বেকার পড়ে থাকছে যা মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ক্যাপাসিটি পেমেন্ট দেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই। পাশাপাশি পুরাতন বিদ্যুৎকেন্দ্রর চুক্তি নবায়ন করা উচিত হবে না।
সিপিডির প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৩ মাসে এলএনজি আমদানি নীতি সিদ্ধান্ত বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। কাতারের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি এলএনজি আমদানির চুক্তি করা হয়েছে। আরও দু’টি এফএসআরইউ (ফ্লোটিং গ্যাস রি-গ্যাসিফিকেশন ইউনিট) স্থাপনের চুক্তি করা হয়েছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানির জন্য নতুন করে ২০টি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের দিকে জোর দেওয়া হয়েছে।
বিদ্যুৎ সরবরাহ সংক্রান্ত রিপোর্টে বলা হয়, বিদ্যুতের সবচেয়ে কম ব্যবহার হচ্ছে ময়মনসিংহ ও রংপুর অঞ্চলে। তবে গত ৩ মাসে এসব অঞ্চলেই বেশি লোডশেডিং দেয়া হয়েছে। লোডশেডিংয়ের ক্ষেত্রে শুধু উৎপাদন ঘাটতি নয়, সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থার ত্রুটির কারণেও লোডশেডিং বেড়েছে। গত জুনে সঞ্চালন সমস্যার কারণে প্রায় ২৪১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎবিহীন থাকে। আগস্টে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল ৫ হাজার ১৬ ঘণ্টা।
আরএস