ডিসেম্বর ৯, ২০২৩, ০৩:২৩ পিএম
- ২০০ টাকা ছুঁয়েছে দাম
- অতিরিক্ত পেঁয়াজ কিনছেন ক্রেতারা
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে রাতারাতি অস্থির হয়েছে পেঁয়াজের বাজার। এক রাতেই কেজি প্রতি দাম বেড়েছে ৯০ টাকা। শুক্রবার সকালে যে পেঁয়াজের দাম ছিলো ১শ থেকে ১শ ১০ টাকা সে পেঁয়াজ শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই বিক্রি হচ্ছে ১শ ৫০ থেকে ২শ টাকায়। রাতারাতি পেঁয়াজের এমন অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে এক শ্রেণির ক্রেতারা প্রয়োজনের তুলনায় বেশি পেঁয়াজ কিনে সংরক্ষণ করছেন। এতে টালমাটাল সাধারণ ভোক্তারা। শনিবার সকাল থেকেই ক্ষু্দ্ধ প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
শনিবার দুপুরে উপজেলার পাগলা বাজার, পাথারিয়ার বাজার, নোয়াখালী বাজার ও আক্তাপাড়া মিনাবাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতিটি বাজারেই পেঁয়াজের দাম উর্ধ্বমুখী। শুক্রবারের তুলনায় ৮০ থেকে ৯০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি পেঁয়াজ। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বেশি দরে ক্রয় করার কারণে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। মূলত: সিলেট, ঢাকার আড়ৎদাররা সিন্ডিকেট করে তাদেরকে বিপদে ফেলছেন বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা। একদিনে নতুন কোনো পেঁয়াজ বাজারে আসেনি তাহলে রাতারাতি কেনো পেঁয়াজের এতো দাম বাড়লো? এমন প্রশ্নে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি পাগলা বাজারের অন্তত ছয়টি দোকানের দোকানদার। এদিকে, পাগলা বাজারের দুজন সাধারণ ভোক্তা জানিয়েছেন- পেঁয়াজের দাম বাড়িয়েছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। তাদের কাছে আগের কেনা কমমূল্যের পেঁয়াজ আছে। আগামী চারমাস পেঁয়াজ রপ্তানি করবে না ভারত এমন খবর গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যবসায়ীরা বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে নোয়াখালী বাজারের একজন সাধারণ ভোক্তা জানিয়েছেন- শনিবার দুপুরের দিকে দুই কেজি পেঁয়াজ কিনেছি৷ আমি ওই দোকানের নিয়মিত ক্রেতা। আমার কাছ থেকে ১শ ৪০ টাকা কেজি রেখেছে। আরেকজনের কাছে দাম হাঁকিয়েছে ১শ ৭০ টাকা। রাতারাতি পেঁয়াজের এমন মূল্যবৃদ্ধি দুঃখজনক।
পাগলা বাজারের দুইজন ভোক্তা জানিয়েছেন- ১শ ৫০ থেকে ২শ টাকা দরে বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। কেউ কেউ পাঁচ কেজি, ১০ কেজি করে পেঁয়াজ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন৷ একজন লোক প্রায় দুই মন পেঁয়াজ কিনে সংরক্ষণ করেছেন৷ তিনি নাকি এ পেঁয়াজ দিয়ে ব্যবসা করবেন। আমরা সাধারণ মানুষরাই দাম বাড়াতে দোকানদারদের উৎসাহ দিচ্ছি। পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণ করা খুবই জরুরি।
সুনামগঞ্জ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মো. আল আমিন বলেন, যারা বেশি দামে পেঁয়াজ ক্রয় করবেন তারা যেনো একটি ভাউচার অথবা ভিডিও কিংবা যে কোনো একটি প্রমাণ রাখেন। প্রমাণ অনুযায়ী আমাদেরকে জানালে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেবো। সারা দেশেই এমন পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আমাদের ১২ উপজেলায়ও একই অবস্থা। আমরা দেখছি কি করা যায়।
এআরএস