Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪,

যশোরের ভরা মৌসুমেও কমেনি সবজির দাম

এম এ রহমান, যশোর

এম এ রহমান, যশোর

জানুয়ারি ১৩, ২০২৪, ০৫:২২ পিএম


যশোরের ভরা মৌসুমেও কমেনি সবজির দাম
ছবি: আমার সংবাদ

যশোরের  আটটি উপজেলায় সারা বছরে সবজির চাষ হয়ে থাকে। এ জেলায় ১৫শ হেক্টর জমিতে চাষিরা সবজির চাষ করে থাকেন। যশোরে এখন সবজির ভরা মৌসুম। বাজারে কোন ঘাটতি নেই সবজির। অথচ এই সময়ে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।কোনভাবেই কমছে না সবজির দাম।

শনিবার শহরের বড় বাজার সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতি কেজি পেঁয়াজের কালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজিতে। ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকা কেজি টমেটো, প্রতি কেজি ওল কপি ৪০ টাকা কেজি, প্রতি কেজি ফুল কপি ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা, ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হয় শিম। ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হয় বাধা কপি। প্রতি আটি পালংশাক ১৫ টাকা, ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা

আলু, প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকা, ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হয় উচ্ছে। প্রতি কেজি বরবটি বিক্রি ১০০ টাকা, ৬০ টাকা পটল, কুমড়া ৪০ টাকা, ৩০ টাকা কলা, প্রতি কেজি কচুরলতি ৫০ টাকা, ২০ টাকা কেজি মুলা, প্রতি কিজে ভেন্ডি ১০০ টাকা, ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকায় ঝিঙ্গে ও কুশি, এবং প্রতি কেজি ব্রুকলি বিক্রি হয় ৫৫ টাকা থেকে ৬০ টাকা কেজিতে।

পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা।  বাজারে দেশি নতুন পেঁয়াজের আমদানি বেড়েছে। তা সত্ত্বেও দাম এখনো ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। এরমধ্যে আলুর দাম কেজিতে কমেছে ১০ টাকা। রসুন ও কাচা মরিচের দাম আগের মত আছে বলে জানিয়েছেন সবজি বিক্রেতা আনিচুর রহমান ।

প্রতি কেজি দেশি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৭৫ টাকা থেকে ৮০ টাকায়। যা তিনমাস আগে ছিল ৪৫ টাকা কেজি। ২৮০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা কেজি ছিল দেশি রসুন। প্রতি কেজি। আমদানিকৃত রসুন ২৬০ টাকা কেজি। ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয় আলু। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয় ৮০ টাকা।

মুদি দোকানী আ: রহিম বলেন, বাজারে সরকার নির্ধারিত দাম পাওয়া যাচ্ছে ভোজ্য তেল। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হয় ১৭০ টাকা। আবার ১৭০ টাকা কেজি বিক্রি হয় খোলা সয়াবিন তেল। প্রতি কেজি সুপার পাম তেল বিক্রি ১৪০ টাকা। ১৩৫ টাকা কেজি বিক্রি হয় পাম তেল।

বাজারে ঊর্ধ্বদামে অপরিবর্তিত আছে চাল। প্রতি কেজি স্বর্ণা চাল বিক্রি হয় ৪৬ টাকা থেকে ৪৮ টাকা। ৫০ টাকা থেকে ৫২ টাকা কেজি বিক্রি হয় বিআর-২৮ চাল। প্রতি কেজি বিআর ৪৯-চাল বিক্রি হয় ৫০ টাকা থেকে ৫২ টাকা। ৪৮ টাকা থেকে ৫২ টাকা কেজি বিক্রি হয় বিআর-১০ চাল বিক্রি। প্রতি কেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হয় ৫৪ টাকা থেকে ৫৬ টাকা। ৬৬ টাকা থেকে ৬৮ টাকা কেজি বিক্রি হয় বাসমতি চাল।

বাজারে ডালের দাম বাড়েনি। প্রতি কেজি দেশি মসুর ডাল বিক্রি হয় ১৩০ টাকা। ১১০ টাকা কেজি বিক্রি হয় আমদানিকৃত মুসুর ডাল। প্রতি কেজি ছোলার ডাল বিক্রি হয় ৯৫ টাকা। ৬০ টাকা থেকে ৬৫ টাকা কেজি বিক্রি হয় বুটের ডাল। প্রতি কেজি মুগের ডাল বিক্রি হয় ১০০ টাকা থেকে ১৩০ টাকা। এই হলো যশোরের বাজারের হালচাল।

এআরএস

Link copied!