Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪,

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

ভারতের পেঁয়াজের দাম নিয়ে আলোচনা হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

মার্চ ১২, ২০২৪, ০৭:৩০ পিএম


ভারতের পেঁয়াজের দাম নিয়ে আলোচনা হচ্ছে

ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন পেয়েছেন উল্লেখ করে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, এখন দাম নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ-জাপান ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (ইপিএ) নিয়ে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, খোলাবাজারের চিনির সর্বোচ্চ মূল্য ১৪০ টাকার বেশি হবে না। তারা আমাদের কথা দিয়েছে, তাদের যথেষ্ট মজুত আছে। প্যাকেটজাত চিনির দামও ১৪৫ থেকে ১৪৬ টাকার বেশি হবে না। সেটা আমরা নিশ্চিত করতে পেরেছি। রমজানে চিনির দাম বাড়ার কোনো সুযোগ নেই।

তিনি আরও বলেন, ভারতের সঙ্গেও আমাদের কথা চলছে। সেখানেও অগ্রগতি হতে পারে। দাম সব জায়গায়ই বেশি। আমি যদি ডলারে কনভার্ট করে বাণিজ্যিক ভিত্তিতেও চিনি আমদানি করি তাহলেও দাম কম পড়বে না। পাঁচ টাকা হয়তো এদিক-ওদিক হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম ঊর্ধ্বমুখী। আমরা চাচ্ছি, চিনির দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনতে। যে দাম আমরা নির্ধারণ করে দিয়েছি, রমজান মাসে চিনির দাম তাই থাকবে।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ভারতে পেঁয়াজের শুল্ক বাংলাদেশের জন্য ৮০০ ডলার, আর যুক্তরাজ্যের জন্য এক হাজার ২০০ ডলার। আমাদের সিনিয়র সেক্রেটারি তিনদিন ধরে দাম কমাতে নিয়মিত যোগাযোগ করছেন, আলোচনা করছেন। দু-একদিনের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের বাধা আমি চাইলেই সবকিছু নিরসন করতে পারি না। তবে আমাদের উদ্যোগ ও চেষ্টা আছে। পেঁয়াজ রপ্তানিতে মার্চ পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারত, তারপরও তারা রাজি হয়েছে। সামনে তাদের দেশে নির্বাচন, সেটাও দেখতে হবে। তাদের ভোক্তা আছে, সেটা মাথায় রাখতে হবে। সবকিছু বিবেচনা করে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজের অনুমোদন আমরা পেয়েছি। হয় আমরা সরকারিভাবে জি টু জি আনবো অথবা আমদানিকারকদের অনুমোদন দেবো। যত দ্রুত সম্ভব বাজারে যাতে স্বস্তি ফিরিয়ে আনা যায়, সেই চেষ্টা করবো।

আরএস

Link copied!