নিজস্ব প্রতিবেদক
মার্চ ১৬, ২০২৪, ০২:৪২ পিএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
মার্চ ১৬, ২০২৪, ০২:৪২ পিএম
সম্প্রতি ব্র্যাক ব্যাংক রিডিং ক্যাফে ‘প্রতিস্বর’ বইটি নিয়ে একটি সাহিত্য আড্ডার আয়োজন করেছে।
ব্র্যাক ব্যাংকের সাহিত্যানুরাগী একদল ব্যাংকারদের লেখা ‘প্রতিস্বর’ বইটি অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে। এটিই বাংলাদেশের কোনো ব্যাংকের পাঠচক্রের সদস্যদের লেখা নিয়ে প্রথম কোনো বই। এটি এমন একটি সাহিত্য সংকলন, যা মূলত ব্র্যাক ব্যাংকে কর্মরত কর্মকর্তাদের সুপ্ত প্রতিভাকে প্রতিফলিত করেছে। ছোটগল্প, কবিতা, ভ্রমণকাহিনি, রম্য এবং প্রবন্ধ নিয়ে প্রকাশিত এই সংকলনটি ব্যাংকের সহকর্মীদের বহুমুখী সাহিত্যিক প্রতিভা এবং দক্ষতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ অনুষ্ঠিত সাহিত্যসভায় রিডিং ক্যাফের সদস্যদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ব্র্যাক ব্যাংকে বিদ্যমান বইপড়া এবং সাহিত্য-সংশ্লিষ্ট সংস্কৃতিকেই তুলে ধরে। আড্ডায় অনেক সদস্য, যাদের মধ্যে রয়েছেন অনেক লেখকও-- তাঁরা নিজেরাই বইয়ের কয়েকটি কবিতা আবৃত্তির পাশাপাশি অন্যান্য সাহিত্যসম্ভারগুলোর বিভিন্ন দিক নিয়েও আলোচনা করেন। এই আয়োজনটি ছিল তাঁদের সাহিত্যিক প্রতিভা এবং প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিরাজমান সৃজনশীল চেতনার প্রতিফলন।
এই আয়োজন নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও সেলিম আর. এফ. হোসেন বলেন, “ব্র্যাক ব্যাংকে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, বইপড়ার মতো এত সুন্দর একটি সংস্কৃতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি উন্নত করার পাশাপাশি সমাজে পারস্পরিক সহানুভূতি এবং ভ্রাতৃত্ববোধ জাগিয়ে তোলে। ‘প্রতিস্বর’ শুধু একটি বই-ই নয়, এটি আমাদের সামষ্টিক বুদ্ধিবৃত্তি এবং চিন্তাভাবনারও প্রতিফলন” ।
তিনি আরও বলেন, “আমরা আমাদের প্রতিষ্ঠানের সহকর্মীদের সাহিত্যের অমৃত স্বাদ গ্রহণ এবং নিজেদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশে উত্সাহদানের মাধ্যমে এমন একটি সুসংগঠিত ওয়ার্কফোর্স তৈরি করছি, যারা একটি সুশৃঙ্খল, চিন্তাশীল এবং সৃজনশীল সমাজ গঠনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা আমাদের প্রতিষ্ঠানে যে মূল্যবোধের কথা বলি, ব্র্যাক ব্যাংক রিডিং ক্যাফে সেসব প্রতিশ্রুত মূল্যবোধেরই একটি প্রমাণ। ব্র্যাক ব্যাংকে আমরা যে প্রাণবন্ত সাহিত্য সংস্কৃতি গড়ে তুলেছি, তা নিয়ে আমি সত্যিই অনেক গর্বিত।”
এই সাহিত্য আড্ডাটি ব্র্যাক ব্যাংকের সহকর্মীদের মাঝে বুদ্ধিবৃত্তিক চিন্তাভাবনা এবং সৃজনশীল অভিব্যক্তির সংস্কৃতি গড়ে তোলার ওপর জোর দেয়। সমাজ গঠন এবং ব্যক্তিক উন্নয়নে সাহিত্য কীভাবে একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে কাজ করতে পারে, এটি তার-ই উদাহরণ, যা ব্যাংকটির চলমান শিক্ষা এবং উন্নতির নীতির সাথেও ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
এআরএস