ভোলা প্রতিনিধি
মার্চ ২১, ২০২৪, ০৯:২১ পিএম
ভোলা প্রতিনিধি
মার্চ ২১, ২০২৪, ০৯:২১ পিএম
মাছ-মাংস কিনতে এসে অভিযোগের শেষ নেই ক্রেতাদের। বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও ভোলায় মাছ মাংসের দাম আকাশ ছোঁয়া। কোনোমতেই কমছে না মাছ মাংসের দাম।
ভোক্তাদের অভিযোগ, প্রতিদিন কোনো না কোনো মাছের দাম বাড়ছে। আর এতে নাভিশ্বাস ক্রেতাদের। দামদর নিয়ে ক্রেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করলেও দাম নিয়ন্ত্রণে নেই কোনো মনিটরিং ব্যবস্থা । ফলে ব্যবসায়ীরা নিত্যপ্রয়োজনীয় এসব পণ্য নিজেদের ইচ্ছে মতো বিক্রি করছেন।
গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৭৫০ ও খাসির মাংসের কেজি ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা, বাড়তি দিকে মুরগির দামও। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বিকেলে ভোলার মাছ-মাংসের বাজারে গিয়ে এমনই চিত্র দেখা যায়।
জেলা শহরের মাছ বাজারগুলোতে ক্রেতা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিকেজি চিংড়ি ও কই বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা কেজি দরে। অন্যদিকে রুই, কাতলা ও ছুড়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি দরে। পোয়া মাছের দামও চড়া। বিক্রি হচ্ছে প্রকারভেদে সাড়ে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়। ছোট ছোট মাছের দামও নাগালের বাইরে। পুঁটি, মলন্দা ও কাকচি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি। তবে কিছুটা সহনীয় অবস্থায় পাঙাস আর তেলাপিয়া থাকলেও দাম বেড়েছে কেজিতে ৫০ থেকে ৭০ টাকা।
আলমগীর নিশান ও মেজবাউদ্দিন নামের দুই ক্রেতা জানান, মাছের বাজারের দরদামের লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না। এতো দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। আমরা বাজার মনিটরিংয়ের দাবি জানাচ্ছি।
ক্রেতাদের অভিযোগ প্রতিদিন কোনো না কোনো পণ্যের দাম বেড়েই চলছে। তবে বিক্রেতারা বলছেন, নদীতে মাছ ধরা বন্ধ থাকায় মাছের দাম বেশি। আর পাইকারি বাজারে বেশি দামে কেনার ফলে বাধ্য হয়েই গরু ও খাসির মাংস বেশি মূল্যে বিক্রি করছেন তারা।
মাংস বিক্রেতা মো. জালাল বলেন, আমাদের বেশি দামে গরু কিনে আনতে হচ্ছে। তাই লোকসান এড়াতে বেশি দামে মাংস বিক্রি করতে হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক মো. আরিফুজ্জামান জানান, বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রতিদিন মনিটরিং চলছে। কারো বেশি দামে বিক্রির সুযোগ নেই।
এআরএস