Amar Sangbad
ঢাকা রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪,

বাজেটের পরও স্বস্তি নেই বাজারে

মিরাজ উদ্দিন, ঢাকা

মিরাজ উদ্দিন, ঢাকা

জুন ৭, ২০২৪, ০৯:২৫ পিএম


বাজেটের পরও স্বস্তি নেই বাজারে

বাজারে পূর্বের যে দাম বর্তমান ওয়েদারে যেমন গরম বাজারও ঠিক তেমনি গরম। পেঁয়াজ রসুন আদা এগুলোর আকাশছোঁয়া দাম। যেখানে আমাকে হাফ কেজি করে কিনতে হয়েছে দাম বাড়ার কারণে। গতকাল বাজেট ঘোষণা করেছিল, কিন্তু আজকে বাজারে এসে দেখি সবকিছুর দাম বৃদ্ধি, যেখানে দাম কমার কথা কিন্তু বাস্তব চিত্র ভিন্ন। বাজার করতে এসে হতাশায় এভাবেই কথাগুলো বলছেন আবুল হোসাইন।

এদেশে জিনিসপত্রের দাম বাড়লে আর কোনোদিন কমে না। সরকারের লোকজন তো আর বাজারে আসে না, তারা বাজারের কি অবস্থা দেখবে কি করে। আসে তো সাধারণ মানুষেরা। গতকালকের বাজেটের ঘোষণা শুনার পর আমি ভাবতেছি আমার বেতন বাড়বে তা তো বাড়বে তো লাভ কি এই বাজেটের। সরকারি লোকজনের লাভ বলছিলেন সাহারা খাতুন।

শুক্রবার কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে বাজার করতে এসে চরম হিমশিমে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া। বিশেষ করে আলু, পেঁয়াজ আর ডিমের দাম চড়া। এদিকে সবজির দামও বেড়েছে মানভেদে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, যা পূর্বে ছিল ৮০ টাকা। বরবটি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়, যা ছিল ৮০ টাকা। গাজর ১২০ টাকা, যা ছিল ১৬০ টাকা। শসা বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই ৮০ টাকা। এছাড়াও ঢ্যাঁড়স ৫০ টাকা, যা গতকালও বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকা। প্রতিকেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, যা ছিল ৫০ টাকা। এছাড়াও বেগুন বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৮০ থেকে ৬০ টাকা।

প্রশান্ত ঘনিশ আমার সংবাদকে বলেন, বাজার ঘুরে দেখলাম যে পরিমাণ দাম শুধু দেখে দেখে যাচ্ছি। এখনো ঈদ আসতে দেরি কিন্তু জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। কোনো জিনিস ৪০ টাকার নিচে নাই সব ৪০ টাকার উপরে।

মাছ বাজারে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিকেজি তেলাপিয়া বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা, রুই ২৮০ টাকা, ছোট পাঙাশ ১৮০ টাকা, চিংড়ি ৬২০ টাকা, শিং ৩২০ টাকা, ইলিশ সাইজভেদে ১২০০ থেকে ১৬৬০ টাকা, টেংরা কেজি ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে মাংসের বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার ১৮৫ টাকা, সোনালি মুরগি ৩৪০ টাকা, লাল লেয়ার ৩৬০ টাকা ও পাকিস্তানি মুরগি ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে বৃহস্পতিবার (৬ জুন)। জাতীয় সংসদে বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। দেশের ইতিহাসের ৫৪তম বাজেট এটি।

এর আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। আর ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা।

নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতি পরিস্থিতিতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য ঠিক করেছে সরকার। এজন্য বিশেষ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।

মিরাজ/ইএইচ

Link copied!