নিজস্ব প্রতিবেদক
আগস্ট ১৯, ২০২৪, ১২:১৫ এএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
আগস্ট ১৯, ২০২৪, ১২:১৫ এএম
সরকারের নির্বাহী আদেশে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রয়োজন হলে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) মাধ্যমে শুনানি করে মূল্য সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের সঙ্গে রোববার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রথম বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, ছাত্র জনতার রক্তের বিনিময়ে এই সরকার এসেছে। বর্তমান সরকার কাজই জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন করা। তিনি বলেন, বার বার বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর কারণে জনগণের দুর্ভোগ বেড়েছে। তাই এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না যা দুর্ভোগ আরও বাড়াবে। আমরা বাধ্য না হলে মূল্যবৃদ্ধি করব না। প্রয়োজন হলে কমিশন সবার সঙ্গে কথা বলে তার নীতিমালা অনুসরণ করে সিদ্ধান্ত নেবে।
ফাওজুল কবির বলেন, বিশেষ বিধানের অধীনে চলমান সব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। আগে যেসব চুক্তি করা হয়েছে সেগুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কারণ যেহেতু চুক্তি হয়ে গেছে তাই চাইলে তা বাতিল করা যাবে না। এইজন্য আইনগত দিক খতিয়ে দেখতে হবে। আইনটি বাতিল করার বিষয়ে তিনি বলেন, এজন্য উপদেষ্টা পরিষদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে যে সিদ্ধান্তই নেওয়া হোক তা হবে তাতে জনগণের প্রত্যাশার প্রতিফলন থাকবে।
বিশেষ আইনে যেসব চুক্তি হয়েছে সেগুলোর ট্যারিফ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে দেখা হবে। তিনি বলেন, আগের সরকারের সব কিছু বাতিল করতে হবে এমন নয়। সব কিছু পর্যালোচনা করে দেখা হবে। যেসব কাজ ভালো তা বহাল থাকবে। যেসব প্রকল্প অপ্রয়োজনীয় সেগুলো বাদ যাবে। কারণ সরকারে ধারাবাহিকতা তো বজায় রাখতে হবে।
যেসব প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক বিবেচনায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ রয়েছে তাদের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ফাওজুল কবির বলেন, সবাইকে তো ঢালওভাবে বাদ দেওয়া যাবে না। কাজের জন্য লোক লাগবে। কেউ আগে অনিয়ম করলে তাকে একটা সুযোগ দিতে হবে।
ইএইচ