ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি
নভেম্বর ২৪, ২০২৪, ০২:৫২ পিএম
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি
নভেম্বর ২৪, ২০২৪, ০২:৫২ পিএম
পাবনার ঈশ্বরদীতে অবশেষে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি ও আমদানি করা পেঁয়াজে দাম কমেছে ৫০ টাকা পর্যন্ত। আর কাঁচামরিচের দাম কমেছে কেজিতে প্রায় ১০০ থেকে ১৩০ টাকা।
আমদানিকৃত ও মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে আসায় দ্রুত কমতে শুরু করেছে দাম। টানা বৃষ্টির প্রভাবে কাঁচা মরিচের দাম বাড়লেও এখন প্রতিদিনই কমছে।
আড়তদাররা বলছেন, বাজারে ভারতের পেঁয়াজ ছাড়াও মুড়িকাটা পেঁয়াজের আমদানি বাড়ছে। এতে চাপ কমছে দেশি পুরাতন পেঁয়াজের ওপর। পাইকারিতে দাম কমতে শুরু করায় খুচরা বাজারেও প্রভাব পড়ায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে ভোক্তা পর্যায়ে।
হাতেগোনা কিছু খুচরা দোকানে এখনও পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচ বেশি দামে বিক্রি হলেও বেশিরভাগ দোকানে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৫০ টাকা কমে।
বাজারে জাতভেদে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ পাইকারিতে ১০০-১১০ টাকা কেজিতে নেমে এসেছে। খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। এর আগে পেঁয়াজের দাম ১৭০ টাকায় উঠেছিল। আর ভারতীয় পেঁয়াজের জন্য পাইকারিতে গুনতে হচ্ছে ৮৫-৯০ টাকা পর্যন্ত। খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা। আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম উঠেছিল ১৩০-১৪০ টাকা পর্যন্ত।
বেশি দাম পাওয়ার আশায় কৃষকরা মুড়িকাটা পেঁয়াজ তুলতে শুরু করেছেন। অথচ এই পেঁয়াজ পোক্ত বা সুপুষ্ঠ হতে আরও ১৫-২০ দিন সময় লাগার কথা। সেসময় বাজারে আমদানি বেড়ে গেলে দরপতনের ভয় রয়েছে। তাই বিঘা প্রতি কম উৎপাদন হওয়া সত্ত্বেও বেশি দাম পেয়ে পুষিয়ে নেওয়ার আশায় কৃষকরা এখনই মুড়িকাটা পেঁয়াজ তুলছেন।
রোববার পাইকারিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজ ৮০-৯০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। খুচরা বাজারে ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
কাঁচা মরিচের দামের ওঠানামার পেছনে টানা বৃষ্টিকে দুষছেন খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা। ১৫ দিন আগেও কাঁচামরিচ ১৮০-২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। মঙ্গলবার পাইকারিতে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। আর খুচরা বাজারে মরিচ ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি।
তবে পাড়া-মহল্লার কোন কোন দোকানে এখনও পেঁয়াজ ১৫০ টাকা এবং কাঁচামরিচ ১২০-১৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
পাইকারি ব্যবসায়ী সঞ্জয় সরকার বলেন, ভারতীয় পেঁয়াজের পাশাপাশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে ওঠায় দাম কমেছে। বৃষ্টির কারণে কাঁচামরিচের গাছগুলোতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছিল। এখন দাম কমতে শুরু করেছে।
খুচরা ব্যবসায়ী জুয়েল হোসেন বলেন, বাজারে পুরোদমে আসতে শুরু করেছে ভারতীয় ও মুড়িকাটা পেঁয়াজ। কাঁচামরিচের আমদানিও প্রচুর। তাই দাম কমতে শুরু করেছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি হলে ব্যাপক দরপতন হবে। এতে অবশ্য কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে জানান তিনি।
বাজার করতে আসা রেজানূর রহমান বলেন, পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচের দাম কমে যাওয়ায় কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছি। আলুসহ অন্যান্য সবজির দাম কমলে দুরবস্থা কিছুটা কাটবে।
ইএইচ