দিনাজপুর প্রতিনিধি
ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪, ০৪:০৪ পিএম
দিনাজপুর প্রতিনিধি
ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪, ০৪:০৪ পিএম
দিনাজপুরে সবচেয়ে বড় চালের মোকাম বাহাদুর বাজারে এক সপ্তাহের ব্যবধানে চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৩ থেকে ৪ টাকা। কোন কোন চালে আবার ৫ টাকাও বেড়েছে।
জিরা শাইল এক সপ্তাহ আগে ছিল ৭৫ টাকা, এখন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। নাজির শাইল আগে ছিল ৮০ টাকা, এখন বিক্রি হচ্ছে ৮৪ থেকে ৮৫ টাকা টাকা কেজি দরে।
বি আর ২৮ ও ২৯ চাল এক সপ্তাহ আগে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে এখন বিক্রি হচ্ছিল। এখন বিক্রি হচ্ছে ৬৪ টাকা থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে।
গুটি স্বর্ণা একসপ্তাহ আগে বিক্রি হচ্ছিল ৫০ টাকা কেজি দরে। এখন বিক্রি হচ্ছে ৫৪ টাকা কেজি দরে।
সব ধরনের চালে প্রতি কেজিতে তিন থেকে পাঁচ টাকা দাম বেড়েছে।
২৫ কেজির বস্তায় সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে ১০০ টাকা এবং ৫০ কেজির বস্তায় দাম বেড়েছে ২০০ থেকে টাকা।
আকস্মিক চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ চাল কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন।
চাল কিনতে আসা আমিনুল নামে একজন খুচরা ক্রেতা জানান, চালের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। আমি চাকরিজীবী। বেতন বাড়ে না অথচ সব ধরনের জিনিসের দাম বাড়ছে। আমরা কীভাবে চলবো এমন প্রশ্ন রাখেন।
মোহাম্মদ হালিম নামের আরেকজন ক্রেতা জানান, যেভাবে চালের দাম বাড়ছে। এতে করে কোনোভাবেই সংসার চালাতে পারছি না। চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজারে হিসাব নিকেশ পাল্টে যাচ্ছে। সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
খুচরা বিক্রেতা সুমন জানিয়েছেন, মিল থেকে বেশি দামে চাল কিনতে হচ্ছে। তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। মিল মালিকরা সিন্ডিকেট করে এই চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
বাহাদুর বাজারের পাইকারি চাল ব্যবসায়ী রঞ্জিত জানিয়েছেন, আকস্মিক চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় চালের বিক্রি অনেক কমে গেছে।
বাহাদুর বাজারের আরেক চাল ব্যবসায়ী দুলাল জানিয়েছেন, চালের দাম আর কমবে না, তবে ভারত থেকে চাল আমদানি করা হলে চালের দাম স্থিতিশীল হবে। এবং কিছুটা দাম কমতেও পারে।
দিনাজপুরের সবচেয়ে বড় মিল মালিক জহুরা অটো রাইস মিলের স্বত্বাধিকারী মো. আব্দুল হান্নান বলেছেন, চালের বাজারে কোন সিন্ডিকেট নেই। আমাদেরকে বেশি দামে ধান কিনতে হচ্ছে। তাই চালের দাম বেড়ে গেছে।
ইএইচ