আনোয়ার হোসাইন সোহেল, ঢাকা
ডিসেম্বর ২৯, ২০২৪, ১১:২৫ পিএম
আনোয়ার হোসাইন সোহেল, ঢাকা
ডিসেম্বর ২৯, ২০২৪, ১১:২৫ পিএম
ডলারের দাম বাড়ায় বেশি বেশি রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা। একইসঙ্গে যোগ হয়েছে দাতা সংস্থার ঋণ ও অনুদান। সব মিলিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ২৬.০৯ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বলেন, বিদেশি অনুদান যোগ হয়েছে। এ ছাড়া রেমিট্যান্স প্রবাহ ভালো, এসব কারণে রিজার্ভ বেড়েছে।
অবশ্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নিয়ম মেনে বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ-এর পরিমাণ এখন ২১.৩৩ বিলিয়ন ডলার। এই হিসাবেও আগের চেয়ে বেড়েছে রিজার্ভ।
নিট রিজার্ভ গণনা করা হয় আইএমএফের ‘বিপিএম-৬’ পরিমাপ অনুসারে। মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বিয়োগ করলে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ পাওয়া যায়।
তবে এর বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, তা হলো ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ। এ তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে খুব একটা প্রকাশ করে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেখানে আইএমএফের এসডিআর খাতে থাকা ডলার, ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক মুদ্রা ক্লিয়ারিং হিসাবে থাকা বৈদেশিক মুদ্রা এবং আকুর বিল বাদ দিয়ে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের হিসাব করা হয়।
আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে একটি দেশের ব্যয়যোগ্য প্রকৃত রিজার্ভ থাকা দরকার ১৫ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ তিনমাসের ব্যয়যোগ্য ডলার থাকতে হবে। সে হিসাবে মাসে প্রতি মাসে ৫ বিলিয়ন ডলার। এই হিসাবে বর্তমানে রিজার্ভ ইতিবাচক ধারায় আছে।
চলতি মাসের প্রথম ২৮ দিনে দেশে বৈধ পথে ২৪২ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে, দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ২৯ হাজার ৪০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে)। দৈনিক গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৮ কোটি ৬৪ লাখ ডলার।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বাজারের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখায় বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল ছিল। বিশেষ করে ডলারের দাম ১২০ টাকায় ছিল দীর্ঘদিন ধরে। তবে গত সপ্তাহে ডলারের চাহিদা বাড়ায় বর্তমানে খোলাবাজার বা কর্ব মার্কেটে প্রতি ডলার ১২৮-১২৯ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এই রেট কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বেঁধে দেয়া দামের চাইতেও প্রায় ৮-৯ টাকা বেশি। তবে রেমিট্যান্স ১২৫ টাকার বেশি দরে না কিনতে ব্যাংকগুলোকে মৌখিকভাবে কঠোর নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সোহেল/ইএইচ