আমার সংবাদ ডেস্ক
জানুয়ারি ৫, ২০২৫, ০২:১৯ পিএম
আমার সংবাদ ডেস্ক
জানুয়ারি ৫, ২০২৫, ০২:১৯ পিএম
নিয়ন্ত্রণহীন নিত্যপণ্যের বাজার, এমন চিত্র পুরনো। সংকট যেন কাটছে না কিছুতেই। ফের সংকটে ভোজ্য তেল। দাম বাড়িয়েও মুক্তি মিলছে না। বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেল লিটার প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ টাকা। আর পাঁচ লিটারের বিভিন্ন ব্রান্ডের সয়াবিন তেল বিক্রি মূল্য ৮৫০-৮৫৫ টাকা। এক মাস আগে দাম বাড়লেও সয়াবিন তেলের কৃত্রিম সংকটের অভিযোগ উঠেছে। এখনও বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক নয় বলে দাবি করছেন খুচরা বিক্রেতারা।
রোববার (৫ জানুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মধুবাগ ও রামপুরা বাজার ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।
এ বিষয়ে মধুবাগের ব্যবসায়ী মাহাবুব বলেন, কয়েকদিন ধরে ডিলাররা তেল সরবরাহ করছে না। অর্ডার দিয়েও তেল পাচ্ছি না। অনেকেই তেল চাচ্ছে দিতে পারছি না। এক দফা দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, তারপরও সরবরাহ স্বাভাবিক নয়। শুনছি সামনে রমজানকে ঘিরে আরেক দফা দাম বৃদ্ধির পায়তারা করছে বড় ব্যবসায়ীরা।
অন্যদিকে পাইকারি বিক্রেতা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বাজারে সয়াবিন তেলের সংকট নেই। দাম বৃদ্ধির পর থেকে বাজারে ভোজ্য তেলের স্বাভাবিক সরবরাহ রয়েছে। আমরা চাহিদা অনুসারেই সরবরাহ করতে পারছি।
গত ৯ ডিসেম্বর সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে আট টাকা বেড়েছে। এর ফলে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল এখন বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ টাকায়। প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৪৯ টাকা থেকে বেড়ে ১৫৭-১৬০ টাকা। খোলা পাম তেলের লিটারও ১৪৯ টাকা থেকে বেড়ে ১৫৭ টাকা হয়েছে। এ ছাড়া বোতলজাত পাঁচ লিটার সয়াবিন তেলের দাম এখন ৮৫০ টাকা, যা আগে ছিল ৮১৮ টাকা।
সয়াবিন ও পামতেলের সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক বাজারে উর্ধ্বমুখী দর বিবেচনায় নিয়ে পবিত্র রমযান মাসে পণ্যটির সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার উদ্দেশ্যে কর অব্যাহতি দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সয়াবিন ও পাম তেলের অব্যাহতির মেয়াদ আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ভোজ্যতেলের ওপর আমদানি পর্যায়ে ৫ শতাংশ মূসক ব্যতীত অন্য শুল্ক-করাদি প্রত্যাহার করা হয়। গত অক্টোবরে এমন আদেশ জারি করেছিল এনবিআর।
আর ১৬ ডিসেম্বর ক্যানোলা ও সানফ্লাওয়ার তেল আমদানিতে আগাম কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করার পাশাপাশি মূসক বা ভ্যাট হ্রাস করে প্রতিষ্ঠানটি। তারপরও ভোজ্য তেলের বাজার স্বাভাবিক হয়নি বলে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই দাবি করছেন।
আরএস