Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৫,

সবেক বিজিএমইএ সভাপতি মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস শেষ শয্যায় শায়িত

নিজেস্ব প্রতিবেদক

নিজেস্ব প্রতিবেদক

জানুয়ারি ২৬, ২০২৫, ০৫:৩২ পিএম


সবেক বিজিএমইএ সভাপতি মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস শেষ শয্যায় শায়িত

বাংলাদেশের শিল্প ও আর্থিক খাতের অগ্রগণ্য ব্যক্তিত্ব মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস শনিবার ভোর ৬:৪০ মিনিটে এভারকেয়ার হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

১৯৪৯ সালের ৪ মার্চ কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করা এই মহান ব্যক্তিত্ব দেশের অর্থনিতিতে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন।

ঢাকার গুলশানে প্রথম জানাজা শেষে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম বাজারস্থ লতিফুন্নেসা উচ্চ বিদ্যালয় ও মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত মিয়া বাজার ডিগ্রি কলেজ সংলগ্ন সুবিশাল মাঠে মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শনিবার বাদ মাগরিব অনুষ্ঠিত হয় ।

জানাজায় মাঠ ও আশপাশ প্রাঙ্গণে জনতার ঢল উপচে পড়ে। জানাজার পূর্বে তাৎক্ষণিক সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও প্রাক্তন সাংসদ ডা সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের, বিএনপির প্রাক্তন সাংসদ মনিরুল হক চৌধুরী, বিএনপি নেতা কাজী মনিরুজ্জামান, এলডিপির মহাসচিব ড রেদোয়ান আহমেদ সহ বিভিন্ন রজনৈতিক, সামাজিক ও ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দ।

আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, সম্প্রতি তাঁর সাথে মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। তিনি তাঁকে একজন আল্লাহ-প্রিয় সজ্জন ব্যক্তি হিসাবে, পরোপকারী এবং অত্যন্ত মিষ্টভাষি ও সদাচরণের মানুষ হিসেবে দেখেছেন।

স্থানীয় নির্বাচনি আসনের প্রাক্তন এমপি মনিরুল হক চৌধুরী অতন্ত আবেগি ভাষায় বলেন, মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস তাঁর অত্যন্ত প্রিয় একজন মানুষ ছিলেন কিন্ত বিগত সরকারের ১৭ বছর রাজনৈতিক নিপিড়নের শিকার হয়ে তিনি নিজে এলাকা থেকে দূরে ছিটকে পড়েন বিধায় মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের সকল খবরাখবর রাখতে পারতেন না। মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসকে অত্যন্ত পরোপকারী, দানশীল এবং সুজন ব্যক্তি হিসেবে উল্লেখ করে তিনি ক্ষুব্ধ কন্ঠে বলেন, এখন দেশে ফ্যাসিস্ট সরকার নেই কিন্তু তবুও মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের মতো প্রতিষ্ঠিত, সুপরিচিত, এবং দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে এত ব্যাপক ও ইতিবাচক অবদান রাখা ব্যক্তিও তাঁর দীর্ঘ দিনের জটিল রোগের চিকিৎসার জন্য কেন বিদেশে যেতে পারেননি তার সদুত্তোর দিতেই হবে বর্তমান সরকারকে। 

তাঁর বক্তব্যের সমর্থনে উপস্থিত বিশাল জনতাও মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের সুচিকিৎসা নিশ্চিতে সরকারের অনিহা এবং অবহেলার ব্যাপারে গভীর ভাবে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে জানিয়েছেন, এলাকার মানুষ তাদের অত্যন্ত প্রিয় একজন অভিভাবককে হারিয়ে শোকে মুহ্যমান। এই দুঃখজনক ঘটনার পেছনে সরকারের কতটুকু দায়িত্বহীনতা ছিল, তা উদঘাটনের জোরালো দাবি জানান তাঁরাও।    

ড. রেদোয়ান আহমেদ ও কাজী মনিরুজ্জামান তাঁদের ব্যক্তিগত, ব্যবসায়িক ও রাজনৈতক জীবনে মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের সাথে একান্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলে উল্লেখ করেন। দেশের পোশাক শিল্প থেকে শিশুশ্রম অবসান সহ শিল্পের নানা উন্নয়নে মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের অবদানের তাঁরা ভূয়সী প্রসংশা করেন।

বক্তাবৃন্দ মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের নানা প্রকাশ্য এবং গোপন দান ও সেবারও উল্লেখ করে তাঁর বিদেহী আঁত্মার শান্তি কামনা করেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ইউএনও এবং পুলিশ সুপার। জানাজার পূর্বে মুক্তিযোদ্ধা হিসাকে জনাব কুদ্দুস কে গার্ড অব অর্নার জানানো হয়। মিয়া বাজার ডিগ্রি কলেজ সংলগ্ন স্বীয় ভিটার পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।

বিআরিইউ

Link copied!