অর্থনৈতিক প্রতিবেদক
ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৫, ০৪:১৩ পিএম
অর্থনৈতিক প্রতিবেদক
ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৫, ০৪:১৩ পিএম
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তা ভল্টে কর্মকর্তাদের অর্থ-সম্পদ জমা রাখার তিন শতাধিক লকার রয়েছে। কর্মকর্তাদের সেফ ডিপোজিট লকার খুলতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আট সদস্যের একটি টিম বাংলাদেশ ব্যাংকে এসেছে। আদালতের অনুমতির প্রেক্ষিতে আজ দুপুরে দুদকের পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জমানের নেতৃত্বে এই টিম সুরক্ষিত লকারগুলো খুলতে আসেন।
জানা যায়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকে গোপন ৩০০ লকার আছে। আজ ৩৫ কর্মকর্তার লকার কোলার কথা রয়েছে।
এর আগে গত ২৬ জানুয়ারি দুদক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুরের লকারে তল্লাশি করে প্রায় ৫ কোটি টাকার সম্পদের সন্ধান পেয়েছে। এগুলো এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জিম্মায় রাখা হয়েছে। অভিযানের সময় দুদক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের নামে আরও কিছু লকার দেখতে পায়।
এর মধ্যে যাদের নামে বর্তমানে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত চলছে তাদের নামেও লকার থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এ কারণে দুদক ওইসব লকারেও তল্লাশি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর প্রেক্ষিতে গত ২ ফেব্রুয়ারি দুদক থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরকে চিঠি দিয়ে কেউ যাতে ওইসব লকার খুলতে না পারে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ করেছে। এরপর থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতিঝিল শাখার লকার আর কাউকে খুলতে দেওয়া হচ্ছে না।
সূত্র জানায়, দুদকের অনুসন্ধান দলের হাতে থাকা তথ্য অনুযায়ী অন্ততপক্ষে ৩৫ জন বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তার লকারে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এসব লকারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক ও বর্তমান মিলিয়ে তিনশ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার অর্থসম্পদ এবং অন্য মূল্যবান নথিপত্র সেফ ডিপোজিট আকারে রেখেছেন বলে তথ্য পেয়েছে দুদক। এর মধ্যে কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার নামেও লকার রয়েছে।
বিআরইউ