মামুনুর রশিদ, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৫, ০৫:৩৪ পিএম
মামুনুর রশিদ, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৫, ০৫:৩৪ পিএম
চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও শাখা ইস্টার্ন ব্যাংকের বিরুদ্ধে মো. মুর্তজা আলী নামে এক গ্রাহক আদালতে বুধবার অর্থ আত্মসাতের মামলা দায়ের করেছেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, ব্যাংক কর্তৃপক্ষ মো. মুর্তজা আলীর স্বাক্ষরসহ সব কাগজপত্র জালিয়াতি করে ভুয়া হিসাব খুলে প্রায় ১১ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।
ব্যাংকটির হেড অব কমিউনিকেশন জিয়াউল করিম আমার সংবাদকে বলেন, “গ্রাহক গত বছর মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগের মাধ্যমে আমাদের হয়রানি করেছে। এ ঘটনায় একজন কারাগারে আছেন। মামলার পূর্বে কিছু ঘটনা ঘটেছিল এবং এখন আইনগত সিদ্ধান্ত হবে।”
জানা গেছে, মো. মুর্তজা আলী মূলত বিদেশে থাকার সুবাদে ব্যাংকের মাধ্যমে এ প্রতারণা করার সুযোগ পান।
টাকা ফেরত পেতে ইস্টার্ন ব্যাংকের কর্মকর্তাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অর্থ আত্মসাৎ করার মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী।
২০১৭ ও ২০১৮ সালে ইস্টার্ন ব্যাংকের চান্দগাঁও শাখায় ৫ কোটি ৮০ লাখ টাকার ৬টি স্থায়ী আমানত খোলেন এবং স্থায়ী আমানতের বিপরীতে একটি এসওডি (সিকিউরড ওভারড্রাফট) ঋণের জন্য আবেদন করেন। ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে মো. মুর্তজা আলী বিদেশে চলে যান। পরে তিনি জানতে পারেন যে, ইস্টার্ন ব্যাংকের চান্দগাঁও শাখায় তার নামে দুটি জাল সঞ্চয়ী হিসাব এবং চারটি জাল ঋণ হিসাব খোলা হয়েছে। ঋণের তহবিলগুলো জাল সঞ্চয়ী হিসাবে স্থানান্তরিত হয়ে এবং এসব হিসাব থেকে অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে মোট ৯ কোটি ৭৭ লাখ ৮৩ হাজার ৭৬৬ টাকা আত্মসাৎ করা হয়।
এছাড়া, তার মোবাইল নম্বর ও তথ্য পরিবর্তন করে আরও ৫২ লাখ ৫১ হাজার ৬৫ টাকা আত্মসাৎ করা হয়। তার পাওনা পরিশোধের জন্য তিনি ইস্টার্ন ব্যাংক বরাবরে ১টি চিঠি, ১টি রিমাইন্ডার লেটার ও ২টি আইনি নোটিশ পাঠান, কিন্তু ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এসব নোটিশের কোনো জবাব দেননি।
২০১৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত মো. মুর্তজা আলীর ইস্টার্ন ব্যাংক থেকে সম্ভাব্য পাওনার পরিমাণ ১১ কোটি টাকা।
ইএইচ