জাবি প্রতিনিধি
জুলাই ২৯, ২০১৯, ০৮:১৭ পিএম
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে হলে আসন নিশ্চিতের দাবিতে দুই দফায় বিক্ষোভ করছে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার(২৯ জুলাই) রাত ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত তৃতীয় বর্ষ থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত (৪৩, ৪৪, ৪৫ ও ৪৬ তম ব্যাচ) শিক্ষার্থীরা প্রথম দফায় এবং রাত ১১টা থেকে ১২টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা (৪৭তম ব্যাচ) দ্বিতীয় দফায় এ বিক্ষোভ করেন।
প্রথম দফায় আন্দোলনরত ছাত্রীদের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত রোববার রাতে হলের আবাসিক শিক্ষকেরা ছাত্রীদের হল থেকে বের করে দেওয়া ও হলের রান্নাঘর বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। এছাড়া হলের ৪ জনের কক্ষে ৬ জন ছাত্রীকে থাকার ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হল প্রশাসন।
এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্রীরা ৮ দফা দাবিতে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। তাদের দাবিগুলো হলো- কোনো ছাত্রীর আসন বাতিল করা যাবে না, প্রতি কক্ষে চারটির বেশি আসন বরাদ্দ দেওয়া যাবে না এবং হলের সব রান্নাঘর চালু রাখতে হবে।
প্রথম দফার আন্দোলন চলাকালে রাত ১০টার দিকে ওই হলের প্রাধ্যক্ষ মুজিবুর রহমান ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা সেখানে যান। তারা ঘণ্টাব্যাপী ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন। শেষে ছাত্রীদের দাবি মেনে নেয়ার লিখিত আশ্বাস দেন। এরপর ছাত্রীরা আন্দোলন স্থগিত করেন।
আন্দোলন স্থগিত করা পরই হলের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীরা অবস্থান কর্মসূচিতে বসেন। তারা বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর থেকে ১৮ মাস পর্যন্ত তাঁরা গণ রুমে থাকছেন। এই দীর্ঘ সময়ে ১১৩ জন ছাত্রী দুটি গণ রুমে আছেন। এ সময় তাদের হলে আসন দেয়ার আশ্বাস দেয়া হয়।
সর্বশেষ গত ৯ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরনো প্রশাসনিক ভবনের সামনে ছাত্রীরা মানববন্ধন করেন। সেখানে উপস্থিত হয়ে হলের প্রাধ্যক্ষ চলতি মাসের মধ্যে আসন সংকট নিরসনের আশ্বাস দেন। ছাত্রীদের অভিযোগ, মাস শেষ হয়ে যাচ্ছে কিন্তু আসন নিশ্চিত করেনি প্রশাসন। এর মধ্যে আসন নিশ্চিতের কোনো সম্ভাবনাও তারা দেখছেন না।
আন্দোলন চলাকালে প্রাধ্যক্ষ কমিটির সভাপতি বশীর আহমেদ, ফজিলাতুন্নেছা হলের প্রাধ্যক্ষ এটিএম আতিকুর রহমান, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা হলের প্রাধ্যক্ষ মুজিবুর রহমানসহ প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যেরা সেখানে যান। তারা ছাত্রীদের কাছে আরও দুই দিন সময় চান। কিন্তু ছাত্রীরা তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন।
এমআর