Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ০৬ নভেম্বর, ২০২৪,

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এনাম‌ নিখোঁজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

জুন ১২, ২০২২, ০৬:২১ পিএম


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এনাম‌ নিখোঁজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে সংযুক্ত ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র এনামুল হক গতকাল থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। এই ব্যাপারে রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে, যার জিডি নম্বর ৮২২।

জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের ছাত্র এনামুল হক গতকাল রাত সাড়ে ৮টা থেকে নিখোঁজ। সে সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের ১৪৭ নাম্বার রুমের বাসিন্দা। সে হলের দ্বৈতাবাসিক ছাত্র ছিল।

তার গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহের সদর উপজেলায় সাধুহাটি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের‌ বংকিরা গ্রামে। তার পিতার নাম মোঃ ইউনুস আলী।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, এনামুল নিখােঁজ হওয়ার আগে তিনি পরিবারের সবার সাথে কথা বলে বিদায় নিয়েছেন। পরিবারের কয়েকজন সদস্যদের সঙ্গে ‌কথা‌ বলার সময় কান্না করেছেন বলে জানা গেছে।

পরে রাতে কয়েকবার কল দিয়েও মোবাইলে সংযোগ না পাওয়ায় আজ সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের তার রুমে আসেন তার বড় ভাই মো: সিদ্দিকুর রহমান। রুমে গিয়ে দেখতে পান তার মোবাইল সেট এবং মানিব্যাগ রুমে রেখে সে বের হয়ে যায়। 

পরে হলে তার রুমমেটদের সহযোগিতায় হল প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে। হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ডঃ মোঃ মজিবুর রহমান শাহবাগ থানায় জিডি করার পরামর্শ দেন। তাই তার বড় ভাই সিদ্দিকুর রহমান শাহবাগ থানায় এসে আজ বিকেলে একটি  জিডি করেছেন। জিডি নম্বর ৮২২।

জিডিতে সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এনামুল হক গতকাল রাত ৭:৩৮ মিনিটে মোবাইলে তার সাথে কথা বলে। তার  ছেলের সাথেও কথা বলে। তার ছেলের সাথে কথা বলার সময় কান্না শুরু করে। পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গেও আলাদাভাবে কথা বলে। রাত সাড়ে আটটার দিকে হলের রুম থেকে বের হয়ে যায়। হল থেকে বের হওয়ার সময় তার পূর্বের দেনাপাওনার হিসাব, মোবাইল সেট এবং ম্যানিব্যাগ রেখে যায়। 

সর্বশেষ গতকাল এশার নামাজের পর তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে অস্থিরভাবে  পায়চারি করতে দেখেন মসজিদের খাদেম।

এই ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ডঃ মোঃ মজিবুর রহমান বলেন, হলে তার সমস্ত ডকুমেন্ট আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে জমা দিয়েছি। তার সন্ধানের জন্য প্রক্টর অফিস এবং পুলিশের সাথে সমন্বয় করে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

আমারসংবাদ/এআই 

Link copied!