Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪,

কুবিতে একাত্তর টিভির গাড়ি ভাঙচুর, ছাত্রলীগ নেতাকে অব্যহতি

কুবি প্রতিনিধি

কুবি প্রতিনিধি

জুন ১৪, ২০২২, ০২:০৮ পিএম


কুবিতে একাত্তর টিভির গাড়ি ভাঙচুর, ছাত্রলীগ নেতাকে অব্যহতি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) সংলগ্ন এলাকায় একাত্তর টেলিভিশনের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। 

সোমবার (১৩ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধানফটক-সংলগ্ন এটিএম বুথের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীসূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালনে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় গাড়ি নিয়ে আসেন চ্যানেল ২৪, নিউজ টোয়েন্টিফোর, একুশে টিভি ও একাত্তর টিভির সংবাদকর্মীরা। ক্যাম্পাসের প্রধানফটকে গাড়িগুলো পার্কিং করা ছিলো। 

তবে অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজন এসে একাত্তর টিভির গাড়ি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক থেকে সরাতে বললে গাড়িটি ফটকের পাশেই এটিএম বুথের সামনে রাখেন গাড়িচালক। এর কিছুক্ষণ পরই কয়েকজন এসে গাড়িটি ভাঙচুর করেন।

ঘটনার সময় গাড়িতে থাকা একাত্তর টিভির গাড়ি চালক মো. আলামিন বলেন, আমি গাড়ির ভেতরে ছিলাম। হঠাৎ কিছু ছেলে এসে আমাকে এক মিনিটের মধ্যে গাড়ি সরাতে বলতে বলতেই ভাঙচুর শুরু করে দিয়েছিল। আমাকে গাড়ি সরানোরও সুযোগ দেওয়া হয়নি।

একাত্তর টিভির সাংবাদিক তানিয়া রহমান বলেন, আমি ৯টার খবরে নির্বাচনী লাইভে থাকার সময় কিছু ছেলে একাত্তর টিভিকে স্লেজিং করছিল। আমি তাদের কথায় কান না দিয়ে লাইভ শেষ করে ঘটনাস্থলত্যাগ করি। এর মধ্যেই গাড়ি ভাঙচুর করা হচ্ছে শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভাঙা গাড়ি দেখতে পাই।

এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, আমরা ঘটনাটি জেনেছি। আগামীকাল প্রক্টরিয়াল বডি বসে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং করে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এদিকে এ ঘটনায় প্রাথমিক সম্পৃক্ততার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক এ এম নূর ঊদ্দীন হোসাইনকে স্বীয় পদ থেকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে।

সোমবার (১৩ জুন) রাতে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ এবং সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মাজেদের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

অব্যাহতির পাশাপশি পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছাত্রলীগ মেহেদী হাসান বিদ্যুৎ, মোঃ ইমরান হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের সভাপতি রাফিউল আলম দীপ্ত, কাজী নজরুল ইসলাম হলের সভাপতি নাজমুল হাসান পলাশকে নিয়ে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়। 

তদন্ত কমিটিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশও প্রদান করা হয়।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণ পাওয়ায় আমরা তাকে অব্যাহতি দেই। বাকিটা পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পর জানা যাবে।

তবে অভিযুক্ত এ এম নূর ঊদ্দীন হোসাইন অব্যাহতির বিষয়ে বলেন, আমি এমন কোন লিডার নয় যে নেতৃত্ব দিয়ে গাড়ি ভাংচুর করব। আর আমি সবসময় পড়াশোনা নিয়ে ব্যাস্ত থাকি। আমাকে কেন অব্যাহতি দেয়া হয়েছে আমি জানি না।

আমারসংবাদ/এআই 

Link copied!