যবিপ্রবির প্রথম বার দেশি শিক্ষার্থীকে পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) থেকে দেশের শিক্ষার্থী হিসেবে প্রথম পিএইচডি ডিগ্রি পেতে যাচ্ছেন শেখ শাহরিয়ার বিন রসুল।

যবিপ্রবির কেমিকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. অসিকুর রহমানের তত্ত্বাবধানে "Conversion of Urban Waste to Energy through jute Waste based Activated Carbon Supported Nano-catalytic Pyrolysis Process" বিষয়ের উপর গবেষণা করে এ ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।

এ লক্ষ্যে মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ মুজিব একাডেমিক ভবনের ২য় তলার ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে নিজের করা গবেষণার ফলাফল তুলে ধরেন শেখ শাহরিয়ার বিন রসুল।  

যবিপ্রবির ইতিহাসে তিনিই প্রথম কোন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী যিনি যবিপ্রবি থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করে পিএইচডির জন্য যবিপ্রবিকে বেছে নেই।  প্রথম হিসেবে আমার জন্য এটা অনেক প্রাপ্তির এবং সাথে সাথে এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটা মাইলফলক ও। যে কোন কাজ করার ক্ষেত্রে আমি ডিপার্টমেন্ট থেকে যথেষ্ট সহযোগীতা পেয়েছি।

এ বিষয়ে তত্ত্বাবধায়ক ড. অসিকুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রথম দিকে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা অনেক কঠিন ছিলো। ল্যাবের যন্ত্রপাতি ছিলো প্রায় শুন্যের কোটায়। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সরকারি সহযোগিতায় সে সমস্যা সমাধান হয়।

এসময় তিনি আরো বলেন, ২০১৬ সালে ওই শিক্ষার্থী যখন আমার কাছে পিএইচডি করার জন্য আবেদন করে তখন বিশ্ববিদ্যালয় অর্ডিন্যান্স যথেষ্ট পরিমাণ আপডেট না থাকায় শিক্ষার্থীকে অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। পরে করোনার কারণে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়ে। মোট কথা উক্ত কাজ করতে গিয়ে আমাদের উঁচু নিচু অনেক পথ অতিক্রম করতে হয়েছে।

সার্বিক বিষয়ে যবিপ্রবির ভিসি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি অনেক খুশি যে আমার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এতো তাড়াতাড়ি পিএইচডি শিক্ষার্থী বের হচ্ছেন। আমি তত্বাবধায়ক ও শিক্ষার্থীকে অভিনন্দন জানাচ্ছি এবং ভবিষ্যতে কোন শিক্ষক যদি তত্বাবধায়ক হিসেবে কাজ করতে চায় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সব দিক দিয়ে সাহায্য করবে।

বিশ্ববিদ্যালয় অর্ডিন্যান্স এর সর্বশেষ পরিস্থিতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের কিছু নিয়ম কানুন পরিবর্তন করা হয়েছে। গবেষণা কার্যক্রম কোন নিয়ম কাননের জন্য বন্ধ হতে পারে না। যবিপ্রবিকে গবেষণা ধর্মী বিশ্ববিদ্যালয় করে গড়ে তুলতে সব সময় সহযোগীতা থাকবে।

বিঃদ্রঃ যবিপ্রবি এর আগেও একজন বিদেশি শিক্ষার্থীকে পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান করেছেন।