কুবি প্রতিনিধি
সেপ্টেম্বর ৬, ২০২২, ০৫:৩৪ পিএম
কুবি প্রতিনিধি
সেপ্টেম্বর ৬, ২০২২, ০৫:৩৪ পিএম
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহেরের বিরুদ্ধে কর্মকর্তা-কর্মচারীর কুরুচিপূর্ণ ও মিথ্যা বক্তব্যের প্রতিবাদে প্রশাসনিক ভবনের তালা ঝুলিয়ে আন্দোলন করছে বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের দাবি, দুই দফা আল্টিমেটামের পরেও প্রশাসন কোন ধরনের ব্যবস্থা না নেওয়ায় ফের আন্দোলনে নামেন তারা। মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টায় এ ঘটনা ঘটে।
এসময় হুমায়রা শওকত নামে ১৩ তম ব্যাচের এক শিক্ষার্থী বলেন, একজন কর্মচারী হয়ে একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে যেভাবে অযৌক্তিক, মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্য দিয়েছে সেটা ভিত্তিহীন। স্যার যখন বিষয়টি নিয়ে সমাধান করতে ভিসি স্যারের রুমে গেছেন। একই সময়ে তারা মানববন্ধনের নামে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বক্তব্য দেন। যা অমবমাননাকর। তারা উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে স্যারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। আমরা এখন এটির সুষ্ঠু বিচার চাই।
এদিকে ড. মোঃ আবু তাহেরের বিরুদ্ধে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বক্তব্যের বিচার চেয়ে শিক্ষক সমিতির আবেদনের প্রেক্ষিতে উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ হুমায়ূন কবিরকে আহ্বায়ক এবং ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকীকে সদস্য সচিব করে ৫ সদস্যের এবং শিক্ষার্থীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ আসাদুজ্জামানকে আহ্বায়ক এবং ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকীকে সদস্য সচিব করে ৫ সদস্যের দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মোঃ আমিরুল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত পৃথক বিবৃতিতে তদন্ত কমিটি দুটিকে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হয়।
শিক্ষার্থীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, আমি একটি চিঠি পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে এই মুহুর্তে মন্তব্য করতে চাই না।
জানা যায়, এর আগে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও অযৌক্তিক বক্তব্য দেওয়া প্রতিবাদে সোমবার (২৯ আগস্ট) ও বুধবার (২৪ আগস্ট) মানববন্ধন করেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ আগস্ট কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে মানববন্ধন করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একাংশ। এসময় ব্যানারে সাবেক রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহেরেকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের জামাত-শিবিরের প্রধান পৃষ্টপোষক, জামাত-শিবিরে ও বিএনপির নিয়োগ দাতা, সোলার ক্রয় দুর্নীতির মূল হোতা, বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত দুর্নীতিবাজ বলে অবহিত করেন।
কেএস