Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪,

নতুন কলেজে অনার্স চালুর পরিকল্পনা নেই: উপাচার্য

মো. মাসুম বিল্লাহ

অক্টোবর ২১, ২০২২, ০৫:১৩ পিএম


নতুন কলেজে অনার্স চালুর পরিকল্পনা নেই: উপাচার্য

আগামীতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কোনো কলেজে আর নতুন করে অনার্স কোর্স (স্নাতক সম্মান) চালুর পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার (২১ অক্টোবর) রাজধানীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে উপাচার্য এ কথা বলেন।

পর্যাপ্ত শিক্ষকসহ অন্যান্য সুযোগ–সুবিধা না বাড়িয়ে ঢালাওভাবে অনার্স চালুর বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, গত দুই বছর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নতুন করে আর অনার্সের অধিভুক্তি দিচ্ছে না।

আপাতত নতুন কলেজে অনার্সে অধিভুক্তি দেওয়ার কোনো পরিকল্পনাও নেই। তবে অদূর ভবিষ্যতে খুব প্রয়োজন হলে যেমন যুগোপযোগী প্রয়োজনীয় আবশ্যিক বিষয়ে যাচাই-বাছাই করে অধিভুক্তি দেয়া হবে।

নতুন ১২টি পিজিডি কোর্স চালু হচ্ছে জানিয়ে উপাচার্য বলেন, দক্ষতাভিত্তিক পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা (পিজিডি) কোর্স চালু করা হচ্ছে। আগামী বছরের শুরু থেকে পর্যায়ক্রমে এসব কোর্স চালু হবে।

এ কোর্সগুলো হল-ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইসিটি), ল্যাংগুয়েজ ইংলিশ অ্যান্ড অ্যারাবিক, অন্ট্রাপ্রেনারশিপ, ফার্মিং টেকনোলজি, ডাটা অ্যানালাইসিস, টুরিজম অ্যান্ড ট্রাভেল ম্যানেজমেন্ট, সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং, ক্যাপিটাল মার্কেট অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, সার্টিফাইড অ্যাকাউন্টিং টেকনিশিয়ান, সাইবার সিকিউরিটি, সিকিউরিটি ম্যানেজমেন্ট।

অধ্যাপক মশিউর রহমান আরও বলেন, পিজিডি প্রোগ্রামগুলো শর্ট কোর্স হিসেবেও থাকবে। যাতে অনার্স ও ডিগ্রি পাসের সঙ্গে তারা একটি শর্ট কোর্সেরও সনদ পায়। তবে এগুলো বাস্তবায়ন করতে শিক্ষক প্রয়োজন হবে।

কবে নাগাদ শুরু করা হবে, জানতে চাইলে উপাচার্য বলেন, ‘আগামী বছরের শুরুর দিকে চালু করার উদ্যোগ নিয়েছি। বাড়ি ভাড়া হয়ে গেলে আগামী বছরের জানুয়ারি কিংবা ফেব্রুয়ারিতে শুরু করতে পারব।

অনার্স চালু আছে এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক সংকট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছুই করার নেই। কারণ আমরা শিক্ষক নিয়োগ, পোস্টিং কিংবা বদলি করি না।

সরকারি কলেজে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে। তাদের আমরা বারংবার অনুরোধ করেছি পর্যাপ্ত শিক্ষক দেয়ার জন্য। আর বেসরকারি কলেজে পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে থাকি।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩১টি বিষয়ের সিলেবাস পরিমার্জনের কাজ চলছে জানিয়ে অধ্যাপক মশিউর রহমান বলেন, স্নাতকের (সম্মান) ৩১টি বিষয়ে সিলেবাস পরিমার্জনের কাজ চলছে। আশা করছি আগামী ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে তা কার্যকর হবে।

ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীদের দেশের বাইরে পড়তে যাওয়ার জন্য বাধ্য করা হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা কী ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ তৈরি করছি। নাকি তাকে দেশের বাইরে চলে যেতে বাধ্য করছি। 

যে ইংরেজি মাধ্যমে পড়ে সে কি আমাদের সমাজের শিক্ষার্থী না। আমরা মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে যতটা অন্তর্ভুক্তিমূলক ততটা ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষা নিয়ে নয়। আমাদের পলিসিতে ভুল আছে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এমন কোন পলিসি করবে না যাতে শিক্ষার্থীরা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে বাধ্য হয়-এ কথা জানিয়ে তিনি বলেন, কম খরচে এখানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে ন্যূনতম সুযোগ পায় শিক্ষার্থীরা। আমরা আসন কমিয়ে তাদের কি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে ঠেলে দেবো?

তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের অনার্স বা ডিগ্রিতে না নিয়ে আমরা ধীরে ধীরে ডিপ্লোমা ও সর্ট কোর্সগুলোতে শিক্ষার্থীদের নিয়ে যেতে চাচ্ছি। সেটাও রাতারাতি সম্ভব হবে না। ডিগ্রি, অনার্স ও মাস্টার্সে সর্ট কোর্সগুলোকে এমবেডেড করবো। 

আইসিটি, ল্যাংগুয়েজ, এন্ট্রাপ্রেনারশিপ কম্পলসারি করবো। আমরা এক সপ্তাহের মধ্যেই করতে পারি, কিন্তু শিক্ষক কই? তাই এখনই কলেজে কলেজে দিচ্ছি না। কেন্দ্রীয়ভাবে শুরু করবো।

টিএইচ

Link copied!