বাঙলা কলেজ প্রতিনিধি
অক্টোবর ২৯, ২০২২, ১১:৪৪ এএম
বাঙলা কলেজ প্রতিনিধি
অক্টোবর ২৯, ২০২২, ১১:৪৪ এএম
হেলিকপ্টারে চড়ে শ্বশুরবাড়ি গিয়েছেন বাঙলা কলেজের রসায়ন বিভাগের প্রভাষক রুমানা শবনম। বর দাদন তালুকদারের বাবা-মায়ের স্বপ্ন ছিলো ছেলে যেনো হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করেন। সেই স্বপ্ন পূরণে বউকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকা থেকে মাদারীপুরে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান তিনি। দাদন তালুকদার পেশায় একজন ব্যাংক কর্মকর্তা।
শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে নববধূকে নিয়ে মাদারীপুর সদর উপজেলার দুধখালী ইউনিয়নের উত্তর দুধখালী গ্রামের একটি স্কুলমাঠে নামে হেলিকপ্টার। এ সময় গ্রামবাসীরা ভিড় জমান। কাছ থেকে নিজ চোখে হেলিকপ্টার দেখে খুশি হন তারা।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, কয়েক বছর আগে বাবা ইদ্রিস তালুকদার আর মা রোকেয়া বেগম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখেন হেলিকপ্টারে চড়ে পুত্রবধূ ঘরে আনার ঘটনা। সেই থেকে তাদের শখ ও স্বপ্ন হেলিকপ্টারে করে ছেলের বউ আনবেন বাড়িতে। সাধ থাকলেও সাধ্য না থাকায় দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হয়েছে তাদের।
অবশেষে বাবা-মায়ের শখ পূরণ করতে ছেলে দাদন তালুকদার শুক্রবার দুপুরে মাদারীপুরের দুধখালী ইউনিয়নের উত্তর দুধখালী গ্রামে নিজ বাড়িতে বউ নিয়ে আসেন হেলিকপ্টারে করে।
দাদন তালুকদার ধর্মীয় ও সামাজিক রীতিনীতি মেনে ঢাকার মিরপুর বাঙলা কলেজের রসায়ন বিভাগের প্রভাষক রুমানা শবনমকে বিয়ে করেন। বাবা মায়ের সেই শখ পূরণ করতেই ঢাকা থেকে নিজ বাড়িতে হেলিকপ্টারে চড়ে বউ নিয়ে আসেন।
খবর পেয়ে আশপাশের কয়েক গ্রামের মানুষ দেখতে আসেন এই দৃশ্য। বাবা-মায়ের শখ পূরণ করতে হেলিকপ্টার চড়ে গ্রামে নববধূ নিয়ে আসায় আনন্দিত গ্রামবাসী ও বরের পরিবার।
কনে রুমানা শবনম বলেন, ‘দাদন তার বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণ করেছে। এটা আমার ভালো লেগেছে। নতুন এক অভিজ্ঞতা। এতে আমি অনেক আনন্দিত। গ্রামবাসী যেভাবে আজ আমাকে বরণ করে নিলো, সেটাও অনেক উপভোগ করেছি।’
এ বিষয়ে বর দাদন তালুকদার বলেন, ‘বাবা-মায়ের শখ পূরণ করতে হেলিকপ্টারে করে বউ এনেছি। এজন্য ঘণ্টায় এক লাখ টাকা ভাড়া গুনতে হয়েছে। তবে টাকা বড় কথা নয়, বাবা-মায়ের শখ পূরণ করতেই এই আয়োজন।’
বরের বাবা ইদ্রিস আলী তালুকদার বলেন, ‘একসময় পরিবারে আমরা আলোচনা করতাম এক ছেলের বউ হেলিকপ্টারে করে বাড়িতে আনবো। সে কথা মনে রেখে আমার ছোট ছেলে দাদন আজ বাড়িতে হেলিকপ্টারে করে বউ এনেছে। মনে খুব শান্তি পেয়েছি। আর কোনো শখ বাকি নাই। এতে খুব আনন্দিত আমি।
এআই