Amar Sangbad
ঢাকা রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪,

চবির গৌরবময় ৫৭ বছর

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

নভেম্বর ১৮, ২০২২, ০৫:৫৫ পিএম


চবির গৌরবময় ৫৭ বছর

পাখিডাকা ,কুয়াশা ডাকা শান্ত নিরব পরিবেশে  পূর্বে দিগন্তে সূর্যের রক্তিম আবহের মাঝে এক হেমন্তের সকাল। চারদিকে রংতুলির আছড়ে উৎসবের আভাস। আজ ১৮ই নভেম্বর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্মদিন। দীর্ঘ ৫৬ বছর ধরে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে আজ ৫৭ এ যাত্রা শুরু করল বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এই বিদ্যাপীঠ। ১৯৬৬ সালের আজকের এই দিনে তৎকালীন পাকিস্তানি আমলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। তাই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে পালিত হয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। প্রতিবছরের ন্যায় এবারেও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে পালিত হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস ২০২২।

বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জারুলতলায় চবি উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, সকল অনুষদের ডিন, বিভাগীয় শিক্ষকবৃন্দ, আমন্ত্রিত অতিথি, সাংবাদিক ও ইলেকট্রনিক প্রিন্ট মিডিয়ার ব্যক্তিবর্গ এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে কেক কেটে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য (অ্যাকাডেমিক) অধ্যাপক বেনু কুমার দে, চবি এলামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি আবদুল করিম ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর ক্যাম্পাস চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। প্রকৃতির অবারিত দানে এই ক্যাম্পাস সমৃদ্ধ। এমন ক্যাম্পাস আর কোথায়ও আমি দেখিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার পরিবর্তে জ্ঞানের প্রতিযোগিতা করা। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ জ্ঞান চর্চা ও জ্ঞান চর্চার মাধ্যমে বিশ্বাঙ্গানে নিজেদের পরিচয় তুলে ধরা।

চবিতে চলমান চারুকলা ইনস্টিটিউটের আন্দোলনের সাথে সংহতি জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, চারুকলা ইনস্টিটিউটকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাহিরে রাখা একটা খারাপ সিদ্ধান্ত ছিল। আমি চাই প্রশাসন চারুকলা ইনস্টিটিউটকে আবারও তাদের প্রাণের ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে আনুক। তবে সেটাও সম্ভব না হলে অন্তত এখানে স্নাতকোত্তর কোর্সটা আনলে ভালো হবে।

বিএনপিকে সর্তক করে হাসান মাহমুদ বলেন,‘১০ ডিসেম্বর ঢাকা শহরে সমাবেশ করবে বিএনপি। আওয়ামীলীগ সরকার বিএনপিকে সুন্দরভাবে সভা-সমাবেশ করতে সহযোগিতা করেছে। কিন্তু জনসভার নামে বিএনপি ঢাকার রাজপথে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে তাদের চরম মূল্য দিতে হবে। আর জনগণই তাদের বিতাড়িত করবে।’

সভায় উপস্থিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন তার বক্তব্যে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হলে সেটি আর বিশ্ববিদ্যালয়ই থাকে না। এটি বঙ্গবন্ধু অনুধাবন করেছিলেন। তাই তিনি দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন দেন। কিন্তু আমরা বঙ্গবন্ধুর সে স্বায়ত্তশাসন রক্ষা করতে পারিনি।’ 

অনুষ্ঠানে চবি প্রক্টর রবিউল ইসলাম ভূঁইয়ার স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে সভাপতির বক্তব্য রাখেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীন আখতার এবং আরও বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য বেনু কুমার দে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির সম্মানার্থে উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী ও চবি নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বাঙালি সংস্কৃতিক নৃত্য পরিবেশন করা হয়।

এবি

Link copied!