চবি প্রতিনিধি
ডিসেম্বর ৫, ২০২২, ০৫:৪৫ পিএম
চবি প্রতিনিধি
ডিসেম্বর ৫, ২০২২, ০৫:৪৫ পিএম
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এ এফ রহমান হলের দেয়ালে ছাত্রলীগের উপগ্রুপের চিকা মেরে আধিপত্য বিস্তার এবং হল দখলকে কেন্দ্র করে চলা সংঘর্ষে দেশীয় অস্ত্রের মহড়া এবং শিক্ষক-সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হওয়ার ঘটনায় প্রাথমিকভাবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ১৫-২০ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে তদন্তের পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বরে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) বিষয়টি জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর এসএএম জিয়াউল ইসলাম।
ছাত্রলীগের সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) রাতে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চট্টগ্রামে আগমন উপলক্ষে একটি মিটিংয়ে বসার পর সংঘর্ষে জড়ায় ভিএক্স ও বিজয় গ্রুপের অনুসারীরা। দুটি পক্ষই দাবি করছে অপরপক্ষ আগে হামলা করেছে।
প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে চলা এ সংঘর্ষে উভয়ের পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। গুরুতর আহত বেশ কয়েজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া এফ রহমান হলের প্রায় ৫০টি কক্ষ ভাঙচুর করেছে উশৃংখল নেতাকর্মীরা।
ঘটনাস্থলে থাকা একজন সহকারী প্রক্টর ও কর্মরত সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয় ছাত্রলীগের অনুসারীরা। এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করতে কাজ করছে প্রশাসন।
ইতিমধ্যে বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ, ছবি ও সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে প্রাথমিকভাবে ১৫ জন ছাত্রলীগ কর্মীকে শনাক্ত করা হয়েছে। তবে জড়িতদের তালিকা এবং শাস্তির বিষয়টি জানা যাবে তদন্ত প্রতিবেদন ও ডিসিপ্লিনারি কমিটির সিদ্ধান্তের পর।
এর আগে রোববার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশের উপস্থিতিতে চবির এএফ রহমান হলের দেওয়ালে আঁকা ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক উপ-গ্রুপগুলোর চিকা মুছে ফেলা হয়।
সহকারী প্রক্টর এসএএম জিয়াউল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১৫-২০ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এছাড়া জড়িত আরও অনেকে এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। তদন্তসাপেক্ষে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রশাসন দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।
টিএইচ