বেরোবি প্রতিনিধি
ডিসেম্বর ২০, ২০২২, ০৪:৩১ পিএম
বেরোবি প্রতিনিধি
ডিসেম্বর ২০, ২০২২, ০৪:৩১ পিএম
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) গাইবান্ধা জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতির কমিটি গঠনে এক শিক্ষক নেতার বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা কমিটি থেকে পদত্যাগ করে নতুন কমিটি গঠন করেছে। এই নিয়ে ক্যাম্পাসে সমালোচনার ঝড় হইছে।
জানা গেছে, গত ১২ ডিসেম্বর সাবেক কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কে অবহিত না করে কমিটি ঘোষণা করে বিতর্কের জন্ম দেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাবিউর রহমান। তাবিউর রহমান প্রধান জেলা সমিতির কমিটি তার ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট করার সাথে সমালোচনা শুরু হয়।
পরে পাল্টা এক ফেসবুক পোস্টে গাইবান্ধা জেলা সমিতির সভাপতি প্রভাত সাহা বর্ষণ ও সাধারণ সম্পাদক এ.কে. প্রামানিক পার্থ বলেন, গাইবান্ধা জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতি, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কার্যকরী কমিটি আমরা সভাপতি/সেক্রেটারি অনুমোদন করিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে কমিটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে তা একটি ভুয়া কমিটি। তাই গাইবান্ধা জেলার শিক্ষার্থীদেরকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্যে অনুরোধ করা হলো।
এঘটনায় কমিটির ৪৫ জন সদস্য কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে পদত্যাগ করলে শিক্ষার্থী উপদেষ্টার সাথে আলোচনা করে গত ১৭ ডিসেম্বর নতুন কমিটি ঘোষণা করে সদ্য সাবেক সভাপতি প্রভাত সাহা বর্ষণ ও সাধারণ সম্পাদক এ.কে. প্রামানিক পার্থ। এতে সভাপতি হিসেবে লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী লুবনা হক মিমি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে শিহাব মন্ডলকে নির্বাচিত করা হয়।
জানতে চাইলে সদ্য সাবেক সভাপতি প্রভাত সাহা বর্ষণ জানান, গাইবান্ধা জেলার একজন সম্মানিত শিক্ষক জনাব তাবিউর রহমান প্রধান দীর্ঘদিন থেকে সমিতির কমিটি ছাত্র সংসদের মত করে দিতে বলছিলেন, আর উনি হতে চাচ্ছিলেন সভাপতি। আমি ও আমার সাধারণ সম্পাদক সেটা না মানায় উনি ব্যাপক হতাশ হয়ে গিয়েছিলেন আমাদের উপর। তার উপর কমিটি গঠন নিয়ে আমরা সাবেক শিক্ষার্থীদের ছাত্র উপদেষ্টা করতে চাইলে সেখানেও উনার ঘোরতোর আপত্তি ছিল। উনার কথা মতে জেলা সমিতিতে সাবেক শিক্ষার্থীরা কেন? তারা সাবেক তারা সাবেকের মত থাকবে। আমি এই সমিতি নিয়ন্ত্রণ করব, ইচ্ছামত শিক্ষার্থীদের ইউজ করব। তার এসব অন্যায় আবদার মানতে রাজি না হওয়ায় উনি সংবিধান বহির্ভূত কমিটি প্রকাশ করে। উনার ভুয়া কমিটি বয়কট করে সভাপতি সহ ৪৫ জন সদস্য পদত্যাগ করে।
এ ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাবিউর রহমান প্রধানকে গত তিনদিন থেকে ফোনে কল ম্যাসেজ দিয়েও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এসএম