হাবিপ্রবি প্রতিনিধি
ডিসেম্বর ২৪, ২০২২, ০২:০৫ পিএম
হাবিপ্রবি প্রতিনিধি
ডিসেম্বর ২৪, ২০২২, ০২:০৫ পিএম
প্রতিষ্ঠার পর থেকে ২৩ বছরেও হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) নির্মিত হয়নি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয়। দীর্ঘদিন যাবৎ সনাতন ধর্মাবলম্বীরা মন্দির নিমার্ণের দাবি জানিয়ে আসলেও বাস্তবায়নে নেওয়া হয়নি তেমন কোন উদ্যোগ। পূজা অর্চনার জন্য ক্যাম্পাসে নেই স্থায়ী কোন ব্যবস্থা।
সনাতনী শিক্ষার্থীদের দাবি, যেখানে বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে মসজিদ, মন্দিরসহ অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের জন্য উপাসনালয় রয়েছে। সেখানে আমাদের না থাকাটা দুঃখজনক। বিশ্ববিদ্যালয় একটা আদর্শে প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত হয়। কিন্তু প্রশাসনের এবিষয়ে দীর্ঘসূত্রতা আমাদের অনেক কষ্ট দিচ্ছে।
তারা বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সরস্বতী পূজা, দীপাবলিসহ বিভিন্ন উৎসব হয়। কিন্তু নির্দিষ্ট কোনো স্থান না থাকায় অস্থায়ী ভাবে বিভিন্ন জায়গায় এসব ধর্মীয় পূজাঅর্চনা এবং উৎসব পালনের আয়োজন করতে হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী দিপু রায় বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ভিত্তিতে বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে, সনাতনী শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় ও নৈতিকতা বিকাশের জন্য কেন্দ্রীয় মন্দির স্থাপিত হয়েছে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, বাংলাদেশের ২য় সংখ্যাগরিষ্ঠ সনাতনী শিক্ষার্থী অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো কেন্দ্রীয় মন্দির স্থাপিত হয়নি, এমনকি সনাতনী শিক্ষার্থীদের জোড়ালো দাবির প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ডের ৩০ তম সভায় মন্দির নির্মাণের জন্য “সিদ্ধান্ত বিবিধ-১” গৃহীত হলেও তা ৮ বছরেও বাস্তবায়িত হয়নি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে সকল ধর্মের ধর্মীয় চর্চার গুরুত্ব অপরিসীম তাই আমি মনে করি,হাবিপ্রবিতে কেন্দ্রীয় মন্দির এখন সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে যে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় সামনে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে হাবিপ্রবি প্রশাসন সেই অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধারণ করে হাবিপ্রবিতে অতিদ্রুত একটি কেন্দ্রীয় মন্দির বাস্তবায়ন করবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী অনূকূল প্রসাদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবছর সরস্বতী পূজা এবং দীপাবলি উৎসব হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশগ্রহণ করে। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবৎ আবেদন করা সত্ত্বেও আমাদের একটা নির্দিষ্ট প্রার্থনার জায়গা না দেওয়ায় সুন্দরভাবে উৎসবগুলো পালন করতে পারি না।
এ বিষয়ে জনসংযোগ ও প্রকাশনা শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড.শ্রীপতি সিকদার জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম কামরুজ্জামান কেন্দ্রীয় মন্দির নির্মাণের বিষয়ে আন্তরিক। অনেক আগেই বিগত উপাচার্যের সময়েই মন্দির নির্মাণ বিষয়ক একটি কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছিলো, ক্যাম্পাসের ছুটি শেষ হলে পূর্বের কমিটি এ বিষয়ে কাজ করা শুরু করবে। যদি ওই কমিটির কোন সদস্য উপস্থিত না থাকে তাহলে নতুন করে কমিটি গঠন করা হবে। উপাচার্যের সার্বিক নির্দেশনায় দ্রুতই এর বাস্তবায়ন হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
কেএস