রাবি প্রতিনিধি
জানুয়ারি ১৬, ২০২৩, ০৬:৫৯ পিএম
রাবি প্রতিনিধি
জানুয়ারি ১৬, ২০২৩, ০৬:৫৯ পিএম
মেস থেকে ডেকে নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফাইন্যান্স বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের আল ফারাবি নামের এক শিক্ষার্থীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। গত রোববার (১৫ জানুয়ারি) আনুমানিক রাত সাড়ে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুর এলাকার মন্ডলের মোড়ে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় সোমবার (১৬ জানুয়ারি) বেলা ১২টায় হামলার বিচার ও নিজের নিরাপত্তা চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।
হামলায় জড়িতরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী জয়, ফরহাদ, রাফি এবং একই শিক্ষাবর্ষের গ্রাফিক ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী অন্তর।
জানতে চাইলে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আল ফারাবি বলেন, গত ১৫ জানুয়ারি আনুমানিক সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টুকিটাকি চত্ত্বরে চা খাওয়ার সময় খোশগল্প থেকে মার্কেটিং বিভাগের জয় ও ফরহাদ, রাফির সাথে আমার বাকবিতন্ডা হয় এবং সামান্য হাতাহাতি হয়। পরবর্তীতে অভিযুক্তরা রাজশাহীর স্থানীয় দাবি করে আমাকে মারার হুমকি দেয়। এতে ভীত হয়ে বিষয়টি আমি বিভাগের সিনিয়রদের জানাই এবং তারা ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টা মিটমাট করে দেন। পরবর্তীতে আমি ক্যাম্পাস থেকে মেসে চলে আসি।
তিনি বলেন, এরপর আনুমানিক রাত সাড়ে ৮টায় অন্তর আমাকে কল দিয়ে চা খাওয়ার কথা বলে মন্ডলের মোড়ে আসতে বলে। পরে আমি মেস থেকে নেমে মন্ডলের মোড়ে গিয়ে দেখি জয়, ফরহাদ, রাফিসহ কয়েকজন বাইকে দাড়িয়ে আছে। এসময় অন্তরসহ কিছু স্থানীয় বখাটে ছেলে আমাকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি এবং বাঁশের লাঠি দিয়ে মেরে হাতে, পায়ে ও মাথায় গুরুতর আহত করে চলে যায়। এসময় আমার পাশে কয়েকজন বন্ধু ও ভাই থাকলেও তাদের ভয়ে সামনে আসতে পারেনি। পরে তারা আমাকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলে নিয়ে যায়। মূলত জয়, রাফি, অন্তর এরা পরিকল্পনা করে বাইরে থেকে গুন্ডা বাহিনী এনে আমাকে আক্রমন করেছিল। আমি এই হামলার বিচার ও ক্যাম্পাসে নিজের নিরাপত্তা চাই।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী জয়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি তিনি কথা বলতে রাজি হয়নি। আরেক অভিযুক্ত শিক্ষার্থী অন্তরের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, হামলার ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি ভালোমতো জানার জন্য আমি ইতোমধ্যে তিনজন সহকারী প্রক্টরকে দায়িত্ব দিয়েছি। তারা এ বিষয়ে দুই বিভাগে খোঁজ নিবেন। এরপরে তদন্ত কমিটি গঠনসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কেএস