নিজস্ব প্রতিবেদক (অনলাইন)
জানুয়ারি ১৭, ২০২৩, ০২:৪৫ পিএম
নিজস্ব প্রতিবেদক (অনলাইন)
জানুয়ারি ১৭, ২০২৩, ০২:৪৫ পিএম
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগে কোটা বাতিল এবং বিভিন্ন চাকরিতে বৈষম্যমূলক আচরণের প্রতিবাদে আলোচনা সভা ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেছে অধিকার বঞ্চিত বেকার সমাজ।
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে "অধিকার বঞ্চিত বেকার সমাজে"র গণস্বাক্ষর কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম সদস্য সচিব ও বঞ্চিত বেকার সমাজের আহবায়ক তারেক রহমান বলেন, কোটা বাতিলের সরকারি পরিপত্র মেনে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হোক, যেহেতু সরকারি পরিপত্র জারি করে ১ম ও ২য় শ্রেণির চাকরিতে কোটা বাতিল করা হয়েছে। এখানে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক পদটি ২ শ্রেণিভূক্ত হওয়াতে এখানে কোটা প্রয়োগের কোন সুযোগ নাই যে বিশেষ বিধান প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা অধিদপ্তর করেছে কোটায় নিয়োগ দিতে, তা সংবিধান বিরোধী এবং জাতীয় নিয়োগবিধির পরিপন্থী। তাই এই প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিধি ২০১৯ এর ধারা ৮ বাতিল করে সরকারি পরিপত্র মেনে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পাদন করতে হবে।
এ সমায় বক্তারা বলেন, মাঠ পর্যায়ে সরেজমিনে যাচায় করে দেখেছি, কোটায় নিয়োগ দিতে কাটমার্ক কমিয়ে আনা হয়েছে কোটাধারীদের জন্য। অভিযোগ আছে ৩৫ পেয়ে কোটায় নিয়োগ সম্পন্ন আছে। অন্যদিকে মেধাবী পুরুষ প্রার্থীরা ৮০ এর মাঝে ৬০-৬২ পেয়েও নিয়োগ পায় নাই। অভিন্ন কাটমার্ক হলে ৬০ শতাংশ নারী কোটা, ২০ শতাংশ পোষ্য কোটা প্রয়োগ করলেও মেধায় আরো বেশি কিছু শিক্ষার্থী নিয়োগ পেত। কোটায় নিয়োগ না পেলে মেধায় নিয়োগ দেয়া হবে, এই কথাটিও না মেনে তারা কোটায় শতভাগ প্রার্থী পুরনে আলাদা আলাদা পাশ মার্ক নির্ধারণ করেছে। কোটাধারীদের পাশ করাতে আলাদা আলাদা কাট মার্কে নিয়োগ দেয়ায় মেধাবীদের নিয়োগকে সংকীর্ণ করা হয়েছে।
এ সময় তারা ৫টি দাবি উত্থাপন করেন-
১. বৈষম্যমূলক এই ফলাফল বাতিল করে এক ও অভিন্ন কার্ট মার্কে পুনরায় ফলাফল ঘোষণা করা হোক। ব্যাখ্যাঃ মাঠ পর্যায়ে সরেজমিনে যাচায় করে দেখেছি, কোটায় নিয়োগ দিতে কাটমার্ক কমিয়ে আনা হয়েছে কোটাধারীদের জন্য। অভিযোগ আছে ৩৫ পেয়ে কোটায় নিয়োগ সম্পন্ন আছে। অন্যদিকে মেধাবী পুরুষ প্রার্থীরা ৮০ এর মাঝে ৬০-৬২ পেয়েও নিয়োগ পায় নাই। অভিন্ন কাটমার্ক হলে ৬০ শতাংশ নারী কোটা, ২০ শতাংশ পোষ্য কোটা প্রয়োগ করলেও মেধার আরো বেশি কিছু শিক্ষার্থী নিয়োগ পেত। কোটায় নিয়োগ না পেলে মেধায় নিয়োগ দেয়া। হবে, এই কথাটিও না মেনে তারা কোটায় শতভাগ প্রার্থী পুরনে আলাদা আলাদা পাশ মার্ক নির্ধারণ করেছে। কোটাধারীদের পাশ করাতে আলাদা আলাদা কাট মার্কে নিয়োগ দেয়ায় মেধাবীদের নিয়োগকে সংকীর্ণ করা হয়েছে।
২. কোটা বাতিলের সরকারি পরিপত্র মেনে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হোক। ব্যাখ্যাঃ যেহেতু সরকারি পরিপত্র জারি করে ১ম ও ২য় শ্রেণীর চাকুরীতে কোটা বাতিল করা হয়েছে। এখানে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক পদটি ২ শ্রেণিভূক্ত হওয়াতে এখানে কোটা প্রয়োগের কোন সুযোগ নাই। যে বিশেষ বিধান প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা অধিদপ্তর করেছে কোটায় নিয়োগ দিতে, তা সংবিধান বিরোধী এবং জাতীয় নিয়োগবিধির পরিপন্থী। তাই এই প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিধি ২০১৯ এর ধারা ৮ বাতিল করে সরকারি পরিপত্র মেনে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পাদন করতে হবে।
৩. শিক্ষক নিয়োগে বিদ্যমান নিয়োগ মেধার ভিত্তিতে দ্রুত সম্পন্ন করে নতুন কোটামুক্ত পরবর্তী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দ্রুত প্রকাশ করা হোক। ব্যাখ্যাঃ সাম্প্রতিক ঘোষণা করা ফলাফলে সাধারণ চাকরি প্রত্যাশীদের ঠকানোর বিষয়টি সুস্পষ্ট। তাই এখানে মেধাবীদের নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিতকরনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। যেহেতু ব্যাকডেটে কিছু পরীক্ষার সুযোগ বর্তমানে দেয়া হচ্ছে, করোনা সংকটে অনেক পরীক্ষা বিলম্বিত হবার অধিকাংশের আবেদনের বয়স শেষের দিকে। তাই ব্যাকডেটে আবেদনের সময় শেষ হবার আগেই, নতুন কোটামুক্ত বৈষম্যহীন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার পাশাপাশি করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ চাকুরী প্রত্যাশীদের কথা বিবেচনা করে স্থায়ীভাবে চাকরির বয়স বৃদ্ধি করতে হবে।
৪. প্রতিবন্ধীদের কোটা সংরক্ষণ করে পোষ্য কোটাসহ সকল কোটার সম্পূর্ণ বিলোপ করা হোক। ব্যাখ্যাঃ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগে প্রতিবন্ধী চাকরি প্রত্যাশীদের সাথে অন্যায় করেছে কর্তৃপক্ষ। সাংবিধান অমান্য করে অনগ্রসর এই শ্রেণিকে কর্মের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে, সমাজের অগ্রসর শ্রেণিকে কোটা সুবিধা প্রদান করেছে। প্রতিবন্ধীদের কোটাসুবিধা রেখে বাকি সকল বিধিবহির্ভূত কোটা বাতিল করতে হবে।
৫. নিয়োগ পরিক্ষার মেরিট লিস্টের পাশাপাশি প্রাপ্ত নাম্বার প্রকাশ করা হোক।
উক্ত গণস্বাক্ষর কর্মসূচি নেতৃত্ব দেন সংগঠনের আহ্বায়ক মোঃ তারেক রহমান, সুমন,জিলু, ইমরান, বিপ্লব সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
কেএস