ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৩, ০৭:৩৭ পিএম
নতুন পাঠ্যপুস্তক নিয়ে বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না। সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে গুগল ট্রান্সলেটরের ব্যবহার নিয়ে চলমান বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার ষষ্ঠ শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক নিয়ে নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে। চৌর্যবৃত্তির মাধ্যমে খোদ বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একটি প্রবন্ধ অনলাইন মাধ্যম থেকে হুবহু পাঠ্যপুস্তকে তুলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এমন অভিযোগ এনে নিজের লেখক স্বত্ব দাবি করেছেন নাসরুল্লাহ শাকুরি।
জানা যায়, ২০২০ সালের ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে 'টুঙ্গিপাড়ার সেই ছেলেটি' শিরোনামে একটি প্রবন্ধ লিখেন নাসরুল্লাহ শাকুরি। যা অনলাইন গণমাধ্যম পূর্বপশ্চিমে প্রকাশিত হয়। সেই লেখাটির কিছু অংশ বাদ দিয়ে একই শিরোনামে ২০২৩ সালে ষষ্ঠ শ্রেণির 'শিল্প ও সংস্কৃতি' বইয়ে প্রবন্ধটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কিন্তু এতে লেখকের নাম উল্লেখ করা হয়নি।
নাসরুল্লাহ শাকুরি বলেন, একজন লেখকের একটি লেখা পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত হওয়া তার জন্যে সম্মানের, অত্যন্ত গৌরবের। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে, এখানে লেখকের নাম উল্লেখ না করে, পূর্বানুমতি ব্যতিরেকে লেখাটির কয়েকটি শব্দ পরিবর্তন করে, কয়েকটি লাইন উলোট-পালোট করে প্রকাশ করা হয়েছে। যা কাক্ষিত নয়।
লেখক আরো বলেন, আসলে লেখালেখি একটি শিল্প। এই শিল্পের শিল্পীকে আমাদের মূল্যায়ন করতে হবে। লেখককে তার প্রাপ্য সম্মান থেকে বঞ্চিত করা উচিত নয়। এতে লেখক উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন। ফলে দেশ ও জাতি সৃজনশীলতার দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়ে। তাই আমার অনুরোধ থাকবে, আগামী সংস্করণে লেখকের নামসহ লেখাটি প্রকাশ করার জন্য এনসিটিবি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
পাঠ্যপুস্তকে চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ নিয়ে জাতীয় পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো ফরহাদুল ইসলাম বলেন, জাতীয় পর্যায়ে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত করে তারা যে রিপোর্ট দিবে সেই রিপোর্টের আলোকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
টিএইচ