চবি প্রতিনিধি
ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৩, ০৮:০৩ পিএম
চবি প্রতিনিধি
ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৩, ০৮:০৩ পিএম
শীতের রুক্ষ ভাব ছেড়ে প্রকৃতি সেজেছে আপন মনে। কোকিলের কুহুতান জানান দিচ্ছে নতুন দিনের। ফুল, পাতা আর পাপড়ির বাহারি রংয়ে পল্লব কাননে নতুনত্বের ছোঁয়া। মন জুড়ানো দখিনা বাতাসের সিগ্ধ পরশ বলছে আজ বসন্ত এসে গেছে।
২১শ একরের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েও বসন্তের রঙিন আগমন সবাইকে মুগ্ধ করেছে। ক্যাম্পাসের প্রতিটি কোনায় পলাশ, ডালিয়া, গাঁদা, জিনিয়া প্রভৃতি ফুলের সমারোহ। বসন্ত উৎসব উপলক্ষে পহেলা ফাগুনে চবি ক্যাম্পাস সেজেছে প্রকৃতির নিজস্ব রূপে। গান, কবিতা, কথামালা, নৃত্য আর সুরের মূর্ছনায় ঋতুরাজ বসন্তকে বরণ করে নিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে চবি ক্যাম্পাসে শুরু হয়েছে বসন্ত উৎসব। ছেলেদের হলুদ পাঞ্জাবি-পায়জামা আর মেয়েদের হলুদ পাড়ের লাল শাড়িতে মাথায় বাহারি ফুলের প্রাণবন্ত সাজ। ছোট বড় সবাই বাহারি ফুলের সৌন্দর্যে নিজেদের সাজিয়ে বসন্ত বরণে ব্যস্ত।
বসন্ত বরণের পাশাপাশি ভালোবাসা দিবস উৎযাপনে মেতেছে চবি শিক্ষার্থীরা। সার্বজনীন ভালোবাসা ছড়িয়ে যাক সবার হৃদয়ে এই বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে চবি ক্যাম্পাসে উৎযাপিত হলো ভালোবাসা দিবস। মনের মানুষটিকে হৃদয়ের অন্তস্তল থেকে ভালোবাসা প্রদর্শনে ছিল ফুলের রাণী লাল গোলাপের প্রাধান্য। গল্প, আড্ডা আর ছবি তুলে ব্যস্ত সময়ে পার হয়েছে ভালোবাসা দিবস।
এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্ত মঞ্চে উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় বসন্ত উৎসব। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সিরাজ উদ দৌলাসহ আরো অনেক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব।
বসন্ত উৎসবে অংশ নিয়ে চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, আজ বসন্ত উৎসব একইসাথে আজ ভালোবাসা দিবস। বসন্তের রংয়ে রঙিন হোক সমাজ। আমরা নবীন ছাত্র ও শিক্ষকদের নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখি। তাদের হাত ধরে আমাদের সমাজ এগিয়ে যাব। তারাই আগামীর সমাজকে সুন্দরভাবে গঠন করবে।
উপাচার্য আরও বলেন, বর্তমান সময় হলো স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরির সময়। যারা স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরিতে ক্জ করছে তাদের জন্য অকৃত্রিম ভালোবাসা রইল।
বসন্ত উৎসবে অংশ নিয়ে চবি শিক্ষার্থী কাউসার আহমেদ বলেন, ঋতুরাজ বসন্তের এই আগমন সবার জীবনকে আরো যেন রঙিন করে তুলে এটাই আমি চাই। বসন্ত উৎসবে সবার মনে ছড়িয়ে যাক অনাবিল সুখ।
কেএস